আর কত দিন গিরিবালা
//////////////////////////////


আর কতদিন মুখ বুজে ,
মাথা নত করে বুকপেতে দিনে দিনে সইবে -
বঞ্চনার জ্বালা।
দেশ ভক্তির নামকরে,সাধিকার সাজ ধরে ,
লুটে পুটে স্বজনের সাথে
নির্লিপ্ত ভাবে থাকে দিনে রাতে।
সেই সাধিকার কথায়
কি ভরসায় তোমার দিন কাটে?
আর কত দিন ?
কত দিন থাকবে চুপ?
তুমি,চুনিবালা,প্রমীলা,উর্মিলা,গিরিবালা,


বাবুদের আঠালো অতিথি শালায়,
উদর পূর্তির স্ফূর্তি চলে পেয়ালা পেয়ালা'য়,
আর তোমার মানিক চাঁদের
জঠরে জ্বলবে কঠোর ক্ষুধার জ্জ্বালা?
বাবুদের পান্থশালার ধোঁয়ায় ধোঁয়ায়
সবাই ভুলে যায় তোমার আমার
ক্ষুধার পাঁজর ভাঙ্গা জঠরজ্বালা।


যে সাধিকার সাথে ,
সাধিকার পাশে -
বুনেছিলে আলোয় আলোয় ভরসার আলয়।
তারই নাগপাশে আষ্ঠে পিষ্ঠে পিষে,
প্রাণ পাখির টুঁটি টিপে ,
সাধিকার হাতে শুরু সর্বনাশের মহাপ্রলয়।


তাঁতের শাড়ির আঁচল ছায়ায়
শ্বেত বস্ত্রের তন্তু জালিকায়
আর হাওয়াই চটির পায়ের ছাপে
মুখ নিঃসৃত বাণীর স্রোতে
বিরাজ করছে ধোঁকাশুর ।
জাগো ওঠো উর্মিলা,প্রমীলা গিরিবালা পল্লীবালা,
তোমার উঠনে ,
ক্ষেতে-খামারে ,বসত ঘরে
ভিড় বাড়ছে বন্য পশুর।


গিরিবালা -উর্মিলা ,প্রমীলা
চেয়ে দেখো দিগন্ত রেখায় লালসূর্য্য ডুবু ডুবু হয় হয়।
ভালো করে কান পেতে শোনো!
তোমার জঠরের জ্বালা,
বুকের ব্যথা ,বিবেকের কথা
কানে কানে কি কথা কয়?
পরে নাও তোমার রণসাজ
বুক চিতিয়ে শোনাও -
তোমার তরবারির আওয়াজ।


যজ্ঞের ঘৃতাহুতির আগুনে
ভণ্ড সাধিকার কারো মুণ্ডুপাত।
শয়নে সপনে নব ঊষার সোপানে
ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দাও উৎখাতের উল্কাপাত।