অদৃশ্য-দৃশ্য আজ
*******************


এক বৃদ্ধ দু হাত দিয়ে প্রাণপণে
সরিয়ে যাচ্ছে আস্তাকুঁড়ে।
নব্য যুবক যুবতী নাক মুখ ঢেকে
ইস বলে ছিটকে গেল দূরে।
অনেক প্রচেষ্টার পরে কিছু-
একটা পেলো কাঁপা কাঁপা হাতে,
আশাক্ত শরীরে কষে ধরে
কাঁধে রাখা ঝোলায় নীল ভরে।
ইসে-র দলে যুবক যুবতী
যোগ দিল কিছু মধ্য বয়স্ক
সমাজ সাম্যের গুনগত সুমতি।


বৃদ্ধ কি খুঁজে ঝোলা যাচ্ছে ভরে
নেই কোনো গতি ও জ্ঞাতি।
কিছু দূরে একদল সারমেয়
অলীক দৃশ্যে ছিল মুখ তুলে,
বসে বসে বোধয় খুঁজেছিল
এ কি মোর কোনো স্বজাতি?
অনতিকাল পরে সমস্বরে গলা
তুলে চিৎকার দিল জুড়ে।


আপন লক্ষে অটল থেকে বৃদ্ধ
ডুবে যাচ্ছে নিজের কাজে,
সারমেয় কুল অতর্কিতে চেঁচিয়ে
উঠে ঝাঁপিয়ে পড়ে বৃদ্ধ পরে
ঝোলা থেকে বেরিয়ে এলো
আস্তা কুঁড়ের খাবার গুলো,
স্তুপের মাঝে বুড়োর নিথর দেহ
তার উপর অংশীদার সারমেয়
আর খাবার গুলো বুড়োর পরে।


জগৎ পথের স্বর্ন রথে নব্য
সমাজ আপন সুখে দিনে রাতে।
নাকে মুখে ঢাকা দিয়ে বিবেক
থেকে দূরে দূরে যাচ্ছে সরে।
রাস্তা ধারে,আস্তাকুঁড়ে,পথচারী
ভবঘুরে,পেটের টানে যুদ্ধ করে
সারমেয় সনে।


মনোলোভা রেস্তোরাঁ মাঝে
সারি সারি নিয়ন বাতি উঠছে সেজে,
সব কিছু বদলে যাচ্ছে রকেট
গতির আগে আগে।
এ চিত্র আগেও ছিল আজও
আছে জীবন যুদ্ধের অগ্ৰ ভাগে।