বৈরাগী জীবন
//////////////////


নিখিল ভুবন বিশ্ব চারাচরের মাঝে
কালের টানে উত্থান পতন লেগে রবে।
শতদল আসে শতদল যায়
তারি মাঝে কেউ নীলপদ্ম রুপে
দেব দেবীর পায়ে স্থান পায়।
বিশাল বায়ু সমুদ্রে ফেনায় ফেনায়
ফেনিয়া ওঠে কিছু নুড়ি পাথর
কখনও আসে অমৃত কখনও আসে গরল
তারই মাঝে কেউ পায় পরশ পাথর।


মন বলে-
এই চারাচরের পথের ধুলায়-
ইট কাঠ পাথরের মাঝে
তুই কি আর পাবি?
এই বিশাল ধরণীর ধরা তলে
পাথর কুড়িয়ে একদিন চলে যাবি।


এখানে বড়ই অভাব মান আর হুঁশের,
দ্বিপদী যারা অষ্টপ্রহর তারা ,
মনের মাঝে অহং বিদ্বেষ লালসা রেখেছে পুষে।
হিয়ার মাঝে আছে যত,
দেখানো পশরার দোকান-
আড়ম্বর আর আড়ম্বরীর থাকবে না কোনো দাম।
পথের ধুলায় মিশে যাবে তোর জমানো যত রাশি,
শ্বাস বায়ু ছেড়ে গেলে গোবর জল ছড়া দেবে
তোরই প্রানের প্রেয়সী।


গোবর জলের ভাষা আর রীতি নীতি জানে কি না জানে?
বাহারি ঠাঁট বাটের আধুনিকতার জ্বালায়
কারো কিছু নেই স্বভাবে ও মনে।
শুধুই লোক দেখানো ভড়ঙ্
হাড় জ্বালানোর চলন বলন।
কথায় কথায় জাহির করার স্বভাব।
বাকি শিষ্টাচার শিক্ষা দীক্ষা চুলোয় গেছে চুলোয় যাক।


দেখে শুনে শিউরে ওঠে দেহমন
আমার তো কিছু নাই,
আছে শুধু বৈরাগীর জীবন।
পথের ধারে,
গুহার ঘরে নয়তো বা
কোনো শ্মশানে কিংবা কবরে হবে ঠাঁই।
ধরার শরীর ধরায়  যাবে,
বিদেহী আত্মা পাঁচভূতে লীন হবে।
সব কিছু ছেড়ে ধূলিময় ধরাতলে,
একদিন মিশে যাবো মাটির কোলে।