বস্তা বন্দি বাপের লাশ
///////////////////////////


উন্মুক্ত রাস্তার ধারে
পড়ে আছে এক খুবলে খাওয়া লাশ,
বোধহয় চিল,শকুন,শেয়াল কুকুরে,
আধা রেখে গেছে দয়া করে।
জংলীদের কৃপায় শুধু মুখটুক চেনা যায় ,
শরীরের বাকি অংশ পেটের খোরাকে হয়ে গেছে উধাও।
মানবতার গাধায় চেপে
ভোট বাক্সের কথা মাথায় রেখে
এলো কিছু বাবু আর আধিকারিকদের দল।
চলে নিরীক্ষনের ওপর নিরীক্ষন উপর্যপরি বিশ্লেষণ,
গন্নি মান্নি সাধারণ মানুষ সে যেই হোক
পার পাবেনা কেউ এবারের মতন।
উপর থেকে চাপ আছে,
গলা খাঁকিয়ে বলে বাবুদের দল।


নানা জনের নানা মত
সাথে তত্ত্ব তথ্য বিশ্লেষণ।
কেউ বলে গুপ্ত হত্যা ।
কেউ বলে,রাজ নৈতিক ষড়যন্ত্র।
কেউ বা বলে জটিল রোগ,
কেউ বা বলে চুরি ডাকাতি
সামজ বিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগ।
চলে নানা ভারি ভারি বিষয়ের কাটাছেঁড়া বিশ্লেষণ।
হাজারো বিষয়ের মাঝে
ভোটের কথাও আছে যে মগজে।
এই গ্রামে বাসকরে পাঁচশ পরিবার
আধা আধা মুচি,মেথর আধা হরিজন।
নেতাদের চোখে আজ বাঁধ ভাঙা অশ্রু বিসর্জন।


দূরে দাঁড়িয়ে ছিল হার ঝিরঝিরে খুদে
চিৎকার করে বলে উচ্চশব্দে
হরিজন বলে দুই মাস ধরে
খাবার জোটেনি পেটে।
না খেতে পেয়ে বাপ মোর মারা গেছে অবশেষে।
আমিও দুই মাস পাইনি ভাত ,
পেট ভরে খেতে ।
বাপ আমার না খেয়ে আমাকে খাইয়ে,
জল খেত দিনে রাতে।
তাই শুনে বাবুদের চক্ষু হলো চড়ক গাছ।
ছেলেটা টা কি বলছে !
বোধহয় আস্ত উন্মাদ!


বাবুরা ইশারায় ডেকে কি যেন বললো কাকে
দুইজন দৌড়ে গিয়ে একটা চটের বস্তা নিয়ে এলো হাতে।
দুয়ে মিলে লাথি মেরে মেরে ভরে দিল তাতে।
অশ্রুজলে তাকিয়ে খুদে
কালো চামড়ার মুখটা
এখনোও চোখের সামনে আসে যায় ভাসে।
বাবুদের এখনোও হয়নি শেষ তত্ত্ব তল্লাশ
চোখের সামনে নিয়ে গেল বাপের বস্তা বন্দি লাশ।