চরণ যুগল
#######
ঠিক এইখানে,
যেখানে তোমার চরণ যুগল পড়লো,
তোমার আগমনে ,
হৃদ স্পন্দনের ধুকপুক বাড়লো।
পায়ে পায়ে পদাঙকের,
ঘাত প্রতিঘাতের ,
ফেলে যাওয়া স্থিতি,
জীবন নামক গরুর গাড়ির ,
নেই কোনো অটল ,অবিচল রীতি।।
চাতক নয়ন অহ:রহ:জেগে হ'ল ,
রুদ্রাভ,পিতাভ,অন্তিম সমরে ।
যখন পড়েছিল তোমার পদরেণু
ঠিক এইখানে এই ভূমির প'রে ।


ভৈরব বাবু শুনেছি,
তুমি লেখ খুব ভালো,
এমন কিছু লেখা লেখো ,
যা আমার জীবন পাতার ,
ছত্রে ছত্রে ছড়াবে আলো।।
লেখনীর দাগ,
কষাঘাতের থেকেও বেশি।
যুগে যুগে এটাই প্রমাণিত ,
অসীর চেয়েও আগে চলে মশি,


সুখ দুঃখে অটুট থাকুক  
ওই পটল চেরা ঠোঁটের হাসি।
হোক না বয়স ষোড়শী,
অষ্টাদশী,চ্ল্লিশ কিংবা আশি।
আসা যাওয়ার জীবন দোলা,
রাসলিলার এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ,
আজ যে সরল কাল সে জটিল,
অলিখিত,আলোকিত ,
বর্ণময়,বর্ণমালার চিরাচরিত রঙ্গ।।


রংবে রঙের,রাঙা মাটির,
স্লেট পাথরের দিনলিপি,
সকাল সাঁঝে রইবে পড়ে,
থাকবে শুধু স্মৃতি।।
বিকেলের পড়ন্ত রোদ্দুরটা
লাগছে না ভালো,
বর্ণময় জীবন টা ফিকে হয়ে
কখন যে তামাটে হয়ে গেল ।।


গোপন আতঙ্কে,
দেওয়ালের আর্তনাদ,
বন্য ছত্রাক,
ঝুড়ি ভোরে নিলাম দেদার,
জংলি ,গ্রাম্য ভাষায় বলে পলছাতা,
মাশরুম শহুরে মানুষের
পোশাকি নাম।


লোকে বলে জীবনটা নাকি ,
সুখ দুঃখের মালা গাথা।
কেন জানিনা আমারতো ,
শুধু মনে হয় সাদা পাতা,
আর একটু বেশি বললে
শুকনো তেজপাতা ।।


কোনোদিন অবহেলা,
অবজ্ঞা,নিয়ে যদি আসো,
আমার চিতা ভূমি প'রে
পাবেনা কোনো ভষ্ম,
কোনো সবুজ,শুকনো ঘাস,
মাটির ভাঙা পাত্রের বা
পোড়া কাঠের  টুকরাবশেষ।


ঠিক এইখানে ,
তুমি চরণ যুগল রাখবে,
ক্ষণীকের বিষন্ন মনে।