দাঁড়াও দেখছি (প্রথম পর্ব)
//////////////////////////////////


কাঁদিয়া কাঁদিয়া মধু মন্ডল
আসিল গ্রাম প্রধানের কাছে।
ফসলের ক্ষেতে কেবা দিয়েছে আগুন,
ছিনিল কোন দুরাত্মা মোর প্রাণের ফাগুন।
জ্বলে পুঁড়ে সব শেষ হয়ে গেছে
ক্ষেতে আর নাহি কিছু বেঁচে,


এ বছর কানায় কানায় ফলেছিল
সোনালী সোনার ফসল।
কার চক্ষুশূলে সোনা গেল জ্বলে
মোর স্বপ্ন হলো বিফল।
বিচার করো প্রধান মশাই
বিচার হোক,
মোর সুবিচার চাই।


বিচার সভায় বসে,তর্কাতর্কি শেষে,
প্রধানের কিছু প্রিয় লোকের
নাম এলো উঠে।
দাঁড়িয়ে প্রধান দিলো বিধান
এ নিয়ে করতে হবে আরো অনুসন্ধান।
আজকের মত সভা এখানেই
শেষ করছি,
বিষয়টা আমার রইলো মাথায়
পরে কি করা যায় ভাবছি।
দাঁড়াও দেখছি।


সপ্তাহ দুয়েক পরে মধু গেল
থানাদারের ঘরে।
পায়ে ধরে কান্না কাটি করে
সব কথা খুলে করল নিবেদন।
গভীর চিন্তা করিয়া,
গম্ভীর স্বরে উঠিল বলিয়া।
কোন দলের সমর্থক তুমি,
আছে কত বাস্তু ভিটে জমি?
পরে কথা বলবো একদিন
তোমার গ্রাম প্রধানের সাথে।


এখন তুমি বলো কিছু কি নিয়ে
এসেছো আজি এই সোনাঝরা
ঝলমলে প্রাতে।
নাকি শুধু চোখে জল ঝরিয়ে
এলে মোর দ্বারে খালি হাতে?
মধু বলে, দুঃখের দুঃখী আমি
ফসল গেছে জ্বলে,
এখন আমি কিবা দিতে পারি
পড়েছি দৈন্যদশার কবলে।


ঠিক আছে,তুমি আজ তবে যাও
বিষটা ভীষণ গোলমেলে।
কি করা যায় ভাবছি,
দাঁড়াও দেখছি।


ক্রমশ................