দুর্যোগ
*********
চারিদিকে থৈ থৈ জল
গলা অবদি জল আর জল।
জল মগ্ন আজ সব কিছু।
বসত বাড়ি,গোলাঘর।
ক্ষেত,খামার ,
প্রাণ গেল কিছু অবলা প্রাণী,
গবাদি পশুর।
কিছু ভেসে গেল জলের তোড়ে।
পরিত্রাণ নেই এই দ্বি-পদচারীর।
প্রাণ দিলো কিছু বেঘোরে।


কেউ বেঘর
কারো পেটে দানানেই।
কেউ আঁকড়ে আছে উঁচু দালান,
কেউ বা উঁচু গাছের ডাল।
সহ-বস্থান মানুষে জানওয়ারে।
চারিদিকে জল আর জল
আকুতি কাকুতি বাঁচার জন্য
চাই একটু স্থল।
কারো সর্বনাশে মাথায় হাত,
কারো বুকফাটা হাহাকার
কারোবা মুনাফা লাভের রাস্তা পরিষ্কার।


প্লাবনে জলমগ্ন যারা
নিয়তির খেলা?জলে থেকেই
পানের জল পায় না তারা।
ত্রাণের আশায় বেঁচে আছে  
একে অপরের মুখ দেখে।
চিৎকার চেঁচামেচি কোনো
ত্রাণ নেই ত্রাণ শিবিরে।
স্বজন হারানোর মারণ যন্ত্রনায়
শানে অভিযোগ।
বাবুভেসী যারা,স্বদল-বলে
শহর থেকে এলো,
ভ্রমণ করে শেষে দলিল লিখে দিলো।
এ এক বড় "দুর্যোগ"


বিচার,বিচারকে দন্ডায়মান দুর্যোগ,
অতি বর্ষণে প্লাবনে প্লাবনে চারিদিক জলমগ্ন
তখন আধিকারিকরা কয় বাড়,বন্যা,
সেও এক দুর্যোগ।

যখন প্রবল বেগে চারিদিকে বায়ু বয়,
হয়ে যায় লন্ডভন্ড তছনছ
তখনও আধিকারিকরা কয় ঝড়,তুফান
সেও এক দুর্যোগ।


যখন ধরিত্রী কেঁপে উঠে
চারিদিক উথালি পাথালি
ওলট পালট হয়ে যায় ভূমি,
তখনও অধিকারিকরা কয়
ভুপিকম্প।
সেও এক দুর্যোগ।


জানা অজানা রোগে যখন
নগর সভ্যতা উজাড় হয়ে যায়
মারে আর মরে
তখনও আধিকারিকরা কয়  
অতিমারি,মহামারী,মড়ক কয় এইডারে।
সেও এক দূর্যোগ।


ভুলে যাবে মানুষ,
মানুষে-মানুষে,রাষ্ট্রে-রাষ্ট্রে মারামারি হানাহানি।
অদ্ভুত এই দুর্যোগের বাণী শাষানি,
আমি করবো প্রাণহানি
রেখে যাবো শুধু সংশয়
ভয়,আর ভয়।


যেখানে নেই কোনো পথ
নেই কোনো অনুযোগ।
পরিবর্তনের অলিখিত
শাস্বত বাণী এই দূর্যোগ।