এ সুর বাজুক তোমার বুকে
*****************
আমি ক্লান্ত সৈনিক এক
বীজিতের পাদদেশে,
বিনিদ্র রজনী জেগে জেগে
আলো ছায়ায় অতন্দ্রী প্রহরী
অবলুপ্ত সভ্যতার।
আশক্ত শরীরের পাঁজরায় অস্থির প্রাণবায়ু বেরিয়ে যাওয়ার
অধৈর্য্য অপেক্ষায়।


ধংসীভুত ইমারতের কড়িবর্গায়
ইট কাঠ পাথরে খুঁজে মরি
প্রানের সভ্যতার শেষ বিন্দু,
নিঃশ্বাসে প্রঃশাসে যা জড়িয়ে
আছে অনন্ত কাল ধরে।


বিনিসুতোর নিবিড় ঘন টানে
গ্রন্থিতে গ্রন্থিতে জেগে আছে  
কালের কালচক্রের সাথে উন্থান
পতনের মর্মস্পর্ষী প্রবাহ,
যা আজও বিদ্যমান।


পরাহুত সেনানীর বিজয়ার গানে
বাজে আগামীরঐক্যতান,
নীরবে অশ্রু কনার প্রতি বিন্দুতে
ঝরে পড়ে আবহমান কালের পরাক্রম।
সুঠাম বক্ষে অদম্য অনিচ্ছায়
নির্ভিকভাবে সেহেছি কত তপ্ত
বারুদের গন্ধ।


পাশবিক অত্যাচারের সাথে রক্ত
বন্যায় মাথা উঁচুকরে পিশাচের
রক্ত চক্ষে মিলিয়েছি চোখ।
রক্ত চোষাক এর লেলিহান
জিহ্বার বিরুদ্ধে করেছি সুতীব্র প্রতিবাদ।
মাতৃভূমির লজ্জিত লাঞ্ছনার
মুক্তির স্রোতে ঢেলে দিয়েছি রক্তের বান।
অহংকারের দাবানলে জ্বলে
যাবে একদিন ওই দানবের
রক্তসিক্ত পতাকা।


তুমি কি নির্ভিক?
তুমি কি দৃঢ়চেতা?
তুমি কি চাও রক্ত চোষক শাসক
মিশে যাক অন্ধকারে!
মিশে যাক স্রষ্টার শেষ আলয়ে।


আমি আজও তোমার অপেক্ষায়
আজও আমি প্রস্তুত সবার অগ্রে,
তোমার জন্য আজও প্রসারিত আমার হাত।
আজ প্রয়োজন-
লাইনে নয় পাশাপাশি নয়
এক সাথে সমষ্টির আক্রমণ।


হয়তো একদিন কোনো সঞ্জয়
করবে বর্ণন,
বিলুপ্ত সভ্যাতার ধংস স্তুপের,
তুমি হবে তার এক নক্ষত্র খচিত কারিগর।