একটা প্রতিভার অপমৃত্যু
///////////////////////////////


আয়তক্ষেত্র মাঠ টার দিকে তাকালাম
খুশিতে মন ভরে গেল।
নতুন প্রজন্ম শরীর চর্চায় খুব মগ্ন
মাঠের ডানদিকে তাকালাম
একদল যোগ ব্যায়ামে নিমগ্ন।
বাম দিকে তাকালাম
একজন বোকুনি দিলো কুংফু অভ্যাসে
পেয়েছে কিছু অসংলগ্ন।
বুকের ভিতরে কেমন চাপা উত্তেজনা।
টেনে নিয়ে গেল কৈশোর আর ছেলেবেলা।


কানে এলো লম্বা বাঁশির শব্দ
চোখ ঘুরিয়ে মাঝ মাঠে দেখি
এক হাড় ঝিরঝিরে ছেলে
ফুটবলে মারছে লম্বা কিক।
উফ -
ছেলেটার মধ্যে দম আছে।
সারা মাঠ একাই কাঁপাচ্ছে।
মনে মনে ভাবলাম ফুসফুসের
বায়ু ধারণ ক্ষমতা বিপক্ষকে ভাবাচ্ছে।
পায়ের স্কিল আছে
পাসের মধ্যে একটা ছন্দ আছে।
মাপাজোকা শট, বল যেন কথা শুনছে।
কি দারুন কিক
কর্নার শট ডিফেন্স অসাধরণ সব কিছু যেন অলৌকিক।
ভাবতে ভাবতে আবার একটা লম্বা বাঁশি,
খেলা শেষ
সবাই ফিরছে সাথে  সেই ছেলেটাও।
যেন সব শক্তি  নিঃশেষ।
কাছে গিয়ে বললাম কি নাম তোমার।
দারুন খেলেছো
যাবে আমার সাথে ফুটবল একাডেমিতে ভর্তি করে দেব।
কোনো কথা না বাড়িয়ে
ধীরে ধীরে পা বাড়িয়ে বেরিয়ে গেল।
শুধু বললো যা সাঁতার জানি
গঙ্গার এপার ওপার হতে পারবো।


পাশের একজন বলে উঠলো
দাদা,
গত মরশুমে অনুর্ধ আঠারো দলে সুযোগ পেয়েছিলো।
গুটি কয়েক খরচের জন্য যেতে পারেনি।
ওর বাবা নেই
টোটো চালিয়ে মা বোন দিদি আর ওর জীবন চলে।
আর সুযোগ পেলে খেপ খেলে।
কি দাদা
খেপ খেলা মাথায় ঢুকলো না তো।
ওই যে পাড়ায় পাড়ায় টুর্নামেন্ট।
সেটা কেই আমরা বলি খেপ খেলা।
ওতেই হয়ে যায় চারজনের ভাত কাপড় আর চটি জুতো।


এক ফোঁটা চোখের জল
পড়লো মাঠের নোনা ধুলোর উপর।
না মন না মাঠ কিছুই ভিজলো না।
মাথা নিচু করে ভাবলাম
একটা প্রতিভার অপমৃত্যু হচ্ছে
চোখের সামনে।