যস্মিন দেশে যদাচার
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
আমি বিশ্বাস করিনা
সব বাঙালি বাংলা লিখতে পারে
পড়তে পারে,
বুঝতে পারে শুদ্ধ বাংলা ভাষা।
বংশ পরম্পরায় এখনও কিছু রয়ে গেছে
কুলি মজুর মেথর নির্বোধ
বাংলা ভাষার চাষা।
এক প্রজন্মে হঠাৎ করে
বিত্তশালী বিত্তবলে
বদলে গেছে তাদের মুখের ভাষা।
ঝাঁ চকচকে নিয়ন আলোয়
ঘুরে গেছে অহংকারে
ওই গোবর পোকা গুলোর মাথা।
বাকি রয়ে গেল না বলা
আরো অনেক কথা।


আমি বিশ্বাস কোরিনা
ওই নির্বোধ
অহংকারের চূড়ায় যাদের বিচরণ।
তারা কি বোঝে
জ্ঞানের আর জ্ঞানীর কদর?
তুমি কি আশা করো তাদের কাছে
স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণ
সে শুধু বুঝেছে মাঠের ভাষা
জাহির করা আর অহংকার উদ্গীরণ।


শাসন শাসনি ধমকে দিন তার কাটে
সভা পারিষদ মন্ত্রণা দাতা
দিনে রাতে বাহবা দিতে থাকে।
তুঘলকি আচরণে দিনে দিনে
বাড়ছে আস্ফালন
বুঝেছে সে এ ভূমি মোর
গো চারণ ভূমি শুধুই করবো গো পালন।
কি করে বুঝবে চাষা অহর্নিশি
মুখে যে গোঁজা তার অহংকারের মিশি।
ধীরেধীরে বাড়ছে পাপের খাতা
একদিন খুলবেই ওই জাবদাখাতা


তুমি কি আশা করতে পারো
ওই মূঢ় স্বেচ্ছাচারী অহংকারি
বর্বদের থেকে-
সভ্য ভদ্র সংস্কারি মার্জিত
অনুশাসন আচার ব্যাবহার।
ধীরে ধীরে তুমিও আতস্থ করবে
যস্মিন দেশে যদাচার।