এক্সজিকিউটিভ কথা(২য়)
////////////////////////////////


যখন প্রাণ বাঁচানোর রক্তের দরকার হয়
তোমাদের কারো ঘরে
তখন কি এম এন সি'র কোনো পদাধিকারীর
রক্ত খোঁজো হাতে ব্যানার ধরে?
তোমারা যখন বাজারে যাও
কিংবা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে
সফরের পা বাড়াও!
তখনও কি ওঠাও তোমার
ঐ এম এন সি কোম্পানির
পদের আওয়াজ ?
যখন চাষার জমির ধান চাল আলু পটল চিকেন পাঁঠা কিংবা ভেড়ার মাংসে উদর পূর্তি করো
তখন কি তোমার
ওই এম এন সি'র পদ ও
পদের বাহারে লজ্জা করে না একবারো।


কখনও কেউ যদি বলতো তাদের!
শোন ওরে মূর্খ  বিবেক হীন বুভুক্ষু
তোরা যে ক্যালেন্ডার দুর্ভিক্ষর।
দেওয়ালে ঝুলছিল -
অবকলন করেছিস কুরুচি আর
মেলেছিস লোভের চক্ষু।
প্রকৃত শিক্ষা পাসনি তোরা,
তাই খুলেনি আজও তোদের জ্ঞান চক্ষু।
কালকের সূর্যদয় দেখতে পাবি কিনা কে জানে?
দিনে রাতে বড়াইয়ের পাহাড়
বাড়িয়ে যাচ্ছিস  আপন আপন মনে।
মায়ার সংসারে অন্ধ তুই অহংকারে,
মূর্খের ভাবভঙ্গি পুষে রেখেছিস
দু'শ  ছয়খানা হাড়ের পিঞ্জরে।
জ্ঞানবান বিদ্বান যারা হয়
বিশ্ব চরাচর তারা করে জয়।
তুই যে চতুস্পদের আধুনিক রূপ
তাই ডিগ্রি,কোম্পানির দেওয়া ঠুনকো
পদের ভারে দিনেরাতে চড়াস সুর।


প্রকৃত মানুষ যারা হয় ,
নির্গুনী তারা কখনোই নয়।
থাকে তদের জগৎ জোড়া মান
ঘরে ঘরে পায় পূজা সবই দেয় সম্মান।
তোদের মতো অহংকারী চতুষ্পদী যারা
বেঁচে থেকে ,মরার পরে
থুতু লাথি ঝাঁটা  সদা পায় তারা।
পড়ে  যদি হয় কারো মান ও হুঁশের বিকাশ
পেলেও পেতে পারে
দ্বিপদী মানুষের আকার।