হাট
/////


অন্তহীন লাইনে দাঁড়িয়ে শত
অযুত নিযুত লক্ষ লোক।
সবার চোখে মুখে উপচে পড়ছে
উচ্ছসিত উচ্ছাস
যেন শুনবে কোন পুণ্যবানের পুণ্য শ্লোক।
সামনে সাজানো একটা
দানবাকার দাঁড়িপাল্লা।
ঢাক পিটিয়ে এক সুকেশী সুদেহী দিচ্ছে সুচনা।
হয়োনা কেউ লাইন চ্যুত
হয়োনা কেউ অধৈর্য্য
হয়োনা ব্যতিব্যস্ত চঞ্চলা।


আবার সুর করে বললো ওই যুবক
ভুলে যাও আপন কীর্তিধজ্জা
এখানে বিক্রি হয় লজ্জা শুধু লজ্জা
আবার বলে ওঠে
লজ্জা বিক্রি আছে লজ্জা,
আপনারা একটু দূরে দূরে
লাইনে দাঁড়ান,
নির্লজ্জের মতো ধাক্কাধাক্কি,
গুঁতোগুঁতি করবেন না
শুধু তালে তালে মাথা নেড়ে যান।
এই আসরে সবাই পাবে নাম
যে যত চক্ষু লজ্জাহীন,বিবেকহীন,বজ্জাত
সেই পাবে সবার থেকে
এই আসরে বেশি দাম।


বড় বেয়াড়া দেখছি আপনারা
ধৈর্য্য নেই ছিঁটে ফোঁটা
লজ্জাও নেই বিন্দু বিসর্গ
বে-শরম কানকাটা।
আমাদের বাবুর কাছে
আছে অনেক অনেক টাকা
কারো চেষ্টা যাবে না বৃথা।
শুধু লাইনে দাঁড়িয়ে
বাবুর নামে
কয়ো না কোনো অকথা কুকথা।


বাবুর নামে
দিবানিশি দাও জয়ধ্বনি
অনুসরণ কারো বাবুর কন্ঠ নিঃসৃত বেদ বাণী।
ঘরের চৌকাঠে বেঁধে রাখো
বাবুর পায়ের ছাপ,
দিনে রাতে দেবতা জ্ঞানে পূজা করো
যপ করো বাবুর নাম
টাকার চাপে বাবু মুছে দেবে
আছে যত অভিশাপ।


নিরাশ হয়ো না তোমরা,
করো না অবহেলা,
যতদিন আসতে থাকে বাবুর অতিথিরা।
ততদিন চলবে এই লজ্জা বিক্রির মেলা
সভা অলংকৃত করবেন সমাজের
গণ্য মান্য রথী মহারথীরা।