হবে না এই ভূমে?
///////////////////////


কন্দর্প তোমার এই  ঔদ্ধত্যপনা কোনো ভাবে
মেনে নেওয়া যায় না।
অচিরেই তুমি যাবে
শিরশ্ছেদে নয়তো বা  শূলে।
রাজমাতার হুঙ্কারে গুঞ্জে উঠে মহল
চিৎকার করে বলে
এর কার্যকলাপের চাই পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ।
মাথা নত করে আসে রাজ মন্ত্রী
বলুন রাজমাতা
হাজির আপনার দাসের দাস এই চটিচাটা।
রাজমাতা লাল চক্ষু দেখিয়ে বলে
তোমরা কি সব ঘুমোচ্ছিলে
মন্ত্রী নত শিরে কয়
আজ্ঞে রাজমাতা তা নয়
আমরা গেছিলেম সরেজমিনে।
এই ব্যাটা কন্দর্প
ভিতরে ভিতরে করেছে প্রচার
আপনার ব্যর্থতা
দিনেদিনে প্রজাদের বাড়ির অঙ্গনে প্রাঙ্গনে।
বড্ড বড় বজ্জাত এই ব্যাটা মিনমিনে।


প্রথম দেখাতেই কেমন যেন
আমার মনে বেঁধেছিল সন্দেহ সংশয়
ব্যাটার মতি গতি একদম ভালো নয়
মতলব কিছু আছে নিশ্চয়।
ঠিক নিয়েছি ধরে
একটু বিলম্ব করে।
ওসব নিয়ে কিছু ভাববেন না রাজমাতা
কিস্যু করতে পারবে না এই ব্যাটা
আমরাই সব
আমরাই গোলদাতা আমরাই রক্ষক
আমাদের পকেটে পুলিশ প্রশাসন।


রাজমাতা -
ব্যাটা কন্দর্প বলেছে গ্রামে গ্রামে
পনঞ্চায়েত সভা সনে
লুট হয়ে যাচ্ছে প্রজাদের টাকা
বিভিন্ন যোজনার নামে।
প্রজারা বেজায় চটে
বলছে গদি উল্টে দেবো এই ভোটে।
রাজমাতা বিস্ময়ে বলে
এই ভোটাভুটি এলো কোত্থেকে
জমিদারি আমার
আমি ঠিক করবো কি হবে এবার
চটিচাটা মন্ত্রী মাথা ঝুঁকিয়ে কয়
মাতা আপনার যুবরাজকে
ওরা রাজা মানতে রাজি নয়
চায়না ওকে রাজ্য আর রাজ্যপাটে
আপনি বুঝলেই সব ল্যাটা যাবে চুকে।


রাজমাতা গগন বিদারী চিৎকারে বলে
দাও ওকে(কন্দর্প) শূলে.
বাকিদের
রেখে দাও কালকুঠুরির জেলে।
জো আজ্ঞা রাজমাতা
এই বলে মন্ত্রী গেল হেলে দুলে
রাজ্যও চটিচাটায় আছে ভরে
দিব্বি যাচ্ছে চলে।
রাজমাতা  হুঙ্কার দিয়ে বলে
নীলদর্পনের প্রতিবাদ
কোনো দিনও
হতে দেবো না এই ভূমে।