ঝরাপাতা-পর্ব-৫
-----------------------
দুরু দুরু বুকে মুখ তুলে দেখে
সামনে দাঁড়িয়ে এক অপ্সরা
নাকি কোনো পরি?


মনের মাঝে প্রশ্নবানে উঠলো ঝড়
ভাবছে এখন আমি কি করি?
হা করে তাকিয়ে দেখে কাজল নয়না হরিণী,
ভাবতে ভাবতে
গম্ভীর এক আদেশ এলো কানে
বাহাদুর কাকা
কে দাঁড়িয়ে অন্ধকারে  
নিয়ে এসো এখানে।
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পা টেনে গেল মহলের ভিতর
মনের মাঝে জমে থাকা স্বপ্ন হলো সফল


অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে আকাশ
ঘরের ভিতর বইছে অদ্ভুত নাতিশীতোষণ্ন বাতাস
নানান নক্সা,নানান চিত্রের কারুকাজ সারা দেওয়াল জুড়ে
রং বে রঙের বৈচিত্রের বাহার
যেন স্বর্গ এসে ধরা দিয়েছে ঘরের ভিতরে
হা করে চেয়ে
থ হয়ে আছে।
অপ্সরা সামনে এলো
গম্ভীর গলায় জানতে চাইলে
তোমার সাহস তো মন্দ নয়
লুকিয়ে লুকিয়ে কি দেখছিলে?
করে নি একটু ভয়?


ঝাঁঝালো গলা নরম হয়ে
গেল থেমে..
দেখলো হাত পা থেকে রক্ত ধারা যাচ্ছে বয়ে।
নিমেষেই ছুটে এসে দিলো আয়োডিন টিংচার
জানতে চাইলো কেমন করে
বইলো রক্তধারা
কেমন করে হলো এই অবিচার।
আমতা আমতা করে
আকাশ বললো ভাঙা গলায়-
টিলার পানে চেয়ে চেয়ে
পড়েছি এই বিড়ম্বনায়।


শশ্রুষা শেষে আর কাছে এসে
জানতে চায়
কি নাম তোমার থাকো কোথায়?
শান্ত স্বরে মুখ নিচু করে
বলে নাম মোর আকাশ
থাকি গোবিদ গ্রামে পাঁচ মাথার ধারে
যেথা
সোনামুখী নদী বয়ে যায় কলকল স্বরে।


ক্রমশ............