কস্তুরী
////////////////


পোঁড়া গন্ধে মাতাল
হলো ভূমি-আশপাশ,
উত্তরের হওয়ায় পৌঁছে গেল
দূর থেকে দূরে।
শরীরের মাংস দলা পাকিয়ে টপ -টপ
করে পড়েছে জল তপ্ত চিতায়-
চিতার তাপে খাঁটি সোনার রং নিলো।


এক কালের সুগন্ধিতে ভরে দেওয়া ঘর দুয়ার
কস্তুরী নাভীর মতো ছিল সজীব।
লালসার দাবানলে
চিরতরে চিতায় হলো বিলীন।


নেই কোনো ভাষা,নেই কোনো কলরব।
বজ্র মুষ্টি নিক্ষেপ করার
নেই শক্তি-নেই বাহুবল।
দেওয়ালের শেষ প্রান্তে
জীবনের শেষ ইচ্ছা
নতী বিন্দুতে দাঁড়িয়ে।


এখনো আছে কস্তুরী
আছে তার সুগন্ধ।
প্রয়োজন সমস্বরের আর সমন্বয়।
বাঁচবে কি কস্তুরীর সুগন্ধ?
না অবলুপ্ত হবে
আদিম লালসায়?


কস্তুরী অসহায়
বর্গে-বর্গে,বর্নে-বর্নে
প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে-
চলছে কস্তুরী হননের পৈশাচিক খেলা।
ঘরে,বাইরে,
বনে,অভয়ারণ্যে।
ছেয়ে আছে আজ মায়ামৃগ।