কি হবে তব শির ভূষণ
/////////////////////////


যে মরুঝড়ের উত্থান তব হাতে
সেই ঝড়ের স্রোতে তুমি বইয়ে
দিয়েছো গরলের সিক্ত প্লাবন
একদিন এই সিক্ত বাতাসেও
নিতে হবে তোমাকে অন্তিম শ্বাস
নেই কোনো বিকল্প অবলম্বন।


বাতাসে বাড়ছে রুক্ষতা
ধূলি উড়ছে চারিদিকে
বইছে অশান্তির অশান্ত ধূলি ঝড়।
ছেয়ে গেছে ঘরে বাইরে নগরে প্রান্তরে
উঠোন থেকে মনের কোণে।
আজ অমৃত-গরল মিশে গেছে
এক পাত্রে ।
বাস্তব পরাবাস্তব এখন
এক  সরল রেখায় ।
এ যেন মহামিলনের তীর্থক্ষেএ
ঝাঁপিয়ে পড়ছে সবাই অবলীলায় এই অবেলায়।


সমতল ভূমি আজ নেই আর মসৃন-
এ যেন জখমের জঙ্গম
ধূম্র রাশির জাল বাড়ছে,আশেপাশে চারিপাশে
বাড়ছে সীমাহীন গতি,
পদ দ্বয় আজ বিপথে,
ভুল পথে মুখোমুখি তুমি আর আমি।
নীতি বাক্যের খেলায় সবাই নাজেহাল
বিকলাঙ্গ অস্থি মজ্জায় নেই কোন
উজ্জীবনের উপাদান।


ধুলো ভরে গেছে-
প্রাণ বায়ু শ্বাসবায়ুর সুগম পথে।
গগন থেকে মনের ঘরে বইছে-
শুস্ক ,রুক্ষতার আদূরে লহরী প্রহরে প্রহরে।
তুমি কি দেখছো কখনো চাঁদের আলো?
তুমি কি খুঁজে পেয়েছো -
কখনো তার স্নিগ্ধ প্রেমের পরশ,
শুনেছো কি তার ভাষা।
তুমি রাস্তার আলোয় চাঁদ দেখো,
নিয়ন আলো লাগে যে চন্দ্র তুল্য,
অহং স্রোতের দাবানলে
সব কিছু যে আজ তোমার অন্তঃসার শূন্য।


তুমি অদূরে দাঁড়িয়ে কেন?
শুরু হয়ে গেছে পতনের সন্ধিক্ষণ
কোনো মূল্য নেই ভাষণ পূজন- কিংবা তব শিরোভূষণ।