মাৎস্যন্যায়
:::::::::::::::::::


অস্থির সময়ের আঙ্গিনায় সবাই আজ,
আবাল বৃদ্ধ বিনতা,
ঘরে বাইরে চারিপাশের চরিত্রে
ছেয়ে গেছে অস্থিরতা।
ছলা কলার খেলায় দিন দিন
বেড়েই চলেছে দক্ষতা।
পিছিয়ে নেই নব প্রজন্মের
জাতক জাতিকা।
এ বলে ওকে দেখে,সে বলে
তাকে দেখ,তারি মাঝে কেউ
বলে আমাকে দেখ।
কাহারো মধ্যে নেই কোন
মনের মিল,নেই কোনো সরলতা।
চলেছে শুধু একে অপরকে
ঠকিয়ে এগিয়ে যাওয়ার
এক নিরাশ প্রতিযোগিতা।


অদ্ভুত অসাম্যের অভিনয়ে,
জ্ঞানে অজ্ঞানে!
অর্জন করেছে কাঙ্ক্ষিত নিপুণ পারদর্শিতা।
প্রজন্মের পর প্রজন্মে
উত্তরাধিকার সূত্রে হবে সঞ্চারিত!
হবে গুনগাথা!
এই ঠকানোর খেলা কি গাইবে
লোক মুখে মুখে ?
না থাকবে হয়ে কাব্যকথা?
জানিনা কি ভাবছে আজকের
গর্বিত প্রজন্ম ?
তারা কি গুমরে মরবে জন্ম জন্ম?


স্বচ্ছ নির্মল বাতাবরণে,
সৃষ্টি করে চলেছে মাৎস্যন্যায়ের।
ক্রমে ঊর্ধ্বে,ছোট থেকে বড়
ভাবনায় একে অপরের খাদ্য খাদক।
অগতির খেলায় মেতেছে সবাই
গতি বাড়ানোর,
সাথে জুড়েছে  কৌশলী পাচক।
আছে পড়ে,স্বচ্ছ জল পাত্রে ভরে।
অভ্যেস হয়েছে পানের ,
জল ঘোলা করে,
যেথা মিশে গেছে বিষ,
যেথা মিশে গেছে কাদা প্রাণে প্রাণে।
কেন পাচ্ছে বাহবা,?
অভিসন্ধির পিছনে কারা?
নেই কোন ডাক্তার?
নেই কোনো বৈদ্য ,?
নেই কোনো পথ্য?
যাবেনা কোনো কিছুতেই সারা?


উন্মেষ হোক আলোর, উন্মেষ
হোক,বৃহৎ মানবতা।
মুছে যাক রন্ধ্রে রন্ধ্রে জমে
আছে যত অসহিষ্ণুতা।
তব বেদনা মিশে যাক মম প্রাণে
মম বেদনা মিশে যাক তব প্রাণে।
ধরার ব্যাথ্যা গাহিব আবার মিলে মিশে
এক সুরে গানে গানে।
নব ঊষার আলোয় দেখিব
আবার যদি কখনো নয়ন মেলি!
আছে যত আবাল বৃদ্ধ বানিতা-
সবাই যেন সুখ দুঃখে
একসাথে পথ চলি।