নাজিয়া ও টেরাকোটা
।।।।.।।।।.।।।।.।।।।.।।।।


তোমার লাগানো বট গাছটা অনেক বড় হয়েছে,
এখনোও চারিপাশের  অনেকটা খোলা জমি আছে
এখন মানুষের আনাগোনা কমে গেছে
তাই মাটিতে ফুটেছে লবণ
কিছু পোকা ঘর বেঁধেছে এস্কিমোদের মতো
কিছু আশ্রয় নিয়েছে মাটির ভিতর।


বিষন্ন মনে কয়েক বার তাকালাম
যেখানে নেমে গেছে বট ঝুরি।
তোমার হাতের তৈরি টেরাকোটা
গহনা গুলো এখনো অক্ষত
মুখ তুলে  মাটির আর ঝুরির সাথে খেলে লুকোচুরি।
আজও সাজানো তোমার বাসন
আজও মুখ তুলে
তোমার চালা ঘরের ভগ্নাবশেষ।


জানো নাজিয়া-
কলস তৈরির-
চাকাটা আজও তেমনি পড়ে রয়েছে
মাটির স্তুপের পাশে।
চাকার সংযোগী আলম্ব দুটো ভেঙে গেছে মাঝ থেকে।
বাকি সব ঠিক আছে সেই আগের মতোই,
উঠোনের-
কিছু পাতি ঘাস সবুজ ,কিছু হলুদ কিছু শুকিয়ে লাল
আর আমি
ওদের মতোই সবুজ থেকে হলুদ
এখন শুকিয়ে এবার হব লাল।
এ ভাবেই  কেটে যাবে তোমার টেরাকোটা আগলে রেখে বাকি জীবনকাল।
তোমার পাশের জায়গাটা টাতে একটাও ঝুরি নামেনি
আজও খালি
ওরা বুঝেছে তোমার মনের ব্যথা
ওখানে যে আমার থাকার কথা।
বাকি পাতি ঘাস গুলোতে ফুল এসেছে ওরাও হবে এবার লাল হবে রূপকথা।