পচনতন্ত্র
///////////////


রৌদ্রজ্জ্বল কোনো এক সকালে
কিছু শুভবুদ্ধি সম্পন্ন
গুণীজনের চিন্তার ফলে
লেগেছিল সমান্তরালের ঢেউ,
মুক্তির শ্বাসে আনন্দ'র উল্লাসে
ঘরে বাইরে সমাজের সর্বস্তরে
আমজনতার হাত ধরে
গড়েছিল স্বপ্নের দেউল।
ঘাম ঝরা রক্তের দামে
বয়ে ছিল স্বস্তির বাতাস
আবাল বৃদ্ধবনিতার প্রাণে প্রাণে।
সেদিন বাতাসে ছিল
নব জীবনের গান নবযুগের গান।
ছন্দে ছন্দে সুর ছিল
তান ছিল
ছিল আগামীর কলতান।
সবার মুখে উচ্চারিত হয়েছিল
একমন্ত্র-
যার নাম ছিল গণতন্ত্র।


ধীরে ধীরে সুগন্ধির বাতাসে
ভরে গেছে দুর্গন্ধের ঘ্রাণ
নব কলেবরে বুর্জুয়ার হাত ধরে
পেয়েছে গণেশের আকার।
বদলে গেছে সবার উচ্চারিত মন্ত্র
চারিদিকে শুধু ষড়যন্ত্র।
তবুও খুশির সাথে তৃপ্তির শ্বাসে
উড়িয়ে চলে ধজ্জা গণতন্ত্রর।
ভুলে গেছে মানুষ বদলে গেছে
গণতন্ত্রের রূপ
মজ্জায় মজ্জায় ধারণ করেছে গনেশতন্ত্র।


এখনো ঘুমিয়ে মানুষ
হারিয়ে হুঁশ সবাই নিশ্চুপ,
তত্ত্ব তথ্য অন্ত্র যন্ত্র সমাজতন্ত্র  সর্বত্র।
পুঁজিবাদের খেলায় পচন ধরেছে
অবলীলায়।
মুখেকুলুপ এঁটে
দুর্গন্ধের স্তুপে থেকে ,
বাঁচে মহাসুখে।
এখনও উড়ায় কেতন গণতন্ত্রর।


উর্ধমুখী সোপান -
মানুষের কাছে  মানুষের নেই কোনো দাম।
বদলে গিয়েছে সবার উচ্চারিত মন্ত্র,
গণতন্ত্র পেয়েছে নতুন রূপ
নাম যার পচনতন্ত্র।


আজ সবার ইষ্টমন্ত্র। দীক্ষা মন্ত্র। গুরুমন্ত্র।
"বেঁচে থাক পচনতন্ত্র"