সে ছিল মোর পদ্মাপারের রাশি
*******************
আঁকা বাঁকা তুলির টানে
শত রঙে পটচিত্র তুমি,
কল্পনায় সদা রঞ্জিত,
মর্ম বেদনায় পরিপূর্ণ মম মনভূমি।
আষাঢ় শ্রাবণের ঘনঘটা মেঘে,বরশন শেষে ,
আশাবরীর তান কানে আসে ভেসে ভেসে।
পথভোলা বিহঙ্গ, দিশাহীন পথে,
নগরে প্রান্তরে ,ফিরে গেছে দিন শেষে।
চাতকের দল ডালে ডালে সারি সারি
প্রতীক্ষার সাক্ষর গেছে রেখে,
এক পসলা বৃষ্টির
এক বিন্দু বারী ধারার রোদ্দুর মেখে ।
চাতক শালিক চড়ুই আজ কই?
সবার মাঝে সকাল সাঁঝে
পলছাতা হয়ে আজও চেয়ে রই।


সে যে প্রাণের সখী
সোহাগ যতনে নাম রেখে ছিলাম রাশি।
পটল চেরা নয়ন যুগল মাথা ভরাএলকেশী।
শপথ নিলাম হাতে হাত রেখে ফেলবো পা
সঙ্গে থাকবে খুশী হাসি
ছাতিম তলায় দাঁড়িয়ে কথা ভাসা ভাসা চোখে,
অম্লমধুর ব্যথা বেদনা ধুকধুক করা ওই বুকে
ছত্রে ছত্রে তোমায় দেখি দিবা কিংবা নিশি।
ভালোবেসে নাম রেখেছিলাম পদ্মাপারের রাশি


সাত রঙা রামধনু
কালো হাসিতে সহসা ঢাকিল মুখ,
বৈরী বৈরী বর্বরতার বাতাসে
নিঃশ্বাসে নেই কোনো সুখ।
অতল গহ্বরের নিকষ কালোয়
মিশে যাবো আমি,
বিষণ্নতা যন্ত্রণা মিটে যাবে জানি,
থাকবে তুমি মরমে মরমে
যাতনা যন্ত্রনা হিয়ায়,
ভালোবেসে মোরে মোরে আছি,
জীবন যুদ্ধে আজও মরি বাঁচি
ওগো মোর পদ্মাপারের রাশি ।।