পুরনো অপু-পর্ব ১১
////////////////////////
(অপর্ণা ওরফেনেজে থাকার এক মাস পরে)


একমাস  পরে
অপর্ণার বাবা এলো
মাথা নিচু করে -
যা করে করেছিলাম তোর ভালো হবে ভেবে।


অপুর,চিঠিতে লেখা কথা গুলো সত্যি?
অপর্ণা চেঁচিয়ে জানতে চায়
কি ছিলো তোমার মনের অভিপ্রায়?
কে ছিলো চার্চ গেটের সামনে
কে বা ছিলো সেদিন সেতুর উপরে।
আমার অপু কতো মহান ছিলো
হৃদপিন্ড দিয়ে তোমার হৃদপিন্ড বদলে গেলো।


বাবা বলে-
তোর মতো দেখতে একজন কে
খুঁজে পেয়েছিলাম এই শহরে,
যে টাকার বিনিময়ে কাজ করে।
তাকেই পাঠিয়ে ছিলাম সেতুর পরে
চার্চ গেটের ধারে।


ওর সাথে ছিলো প্রতীক -
আমার প্রাণের বন্ধু প্রদীপের ছেলে
আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম
তোর সাথে প্রতীকের বিয়ে দেবো বলে।
প্রতীকও বাপের মতো বড় হার্টের ডাক্তার।
দেশে ও বিদেশে ওর আছে ভীষণ নামডাক।
অপু একটা অনাথ আশ্রমে বড় হওয়া ছেলে
তুই বল মা,
আমার প্রতিপত্তি বংশ মার্য্যাদা-র সাথে কি ভাবে মেলে?
তাই মেনে নিতে পারিনি তোদের দুজনকে একসাথে।
অপুকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার করেছিলাম পরিকল্পনা।
ভেবে ছিলাম সইবো সব,যতই আসুক যাতনা যন্ত্রনা।
আমি মানুষ চিনতে করে ছিলাম ভুল
আমায় ক্ষমা করে দে,পুলিশে দে
আমি দিতে রাজি ভুলের মাশুল।
দু হাত জোড় করে বলে
মা আমায় ক্ষমা করে দে।


অপর্ণার
ঝর ঝরিয়ে দুচোখ দিয়ে জল ঝরে
কেঁদে কেঁদে বলে
বাবা তুমি এই কাজ করলে কেমন করে
পিতা স্বর্গ পিতা ধর্ম এই কথাটা
কেউ বিশ্বাস করবে কি করে জগৎ সংসারে।


                     ||||||||


        "সমাপ্ত"
  এখন কার মতো