রাজকার্য্য
::::::::::::::::::
        সৌমেন
----------------------------
প্রণাম রাজন,
বল বল বিদূষক,
দরবারে কেন এত মহা আয়োজন,
আছে বুঝি কোনো গুরুতর প্রয়োজন।


আঞ্জে হে রাজন
গ্রামে,শহরে,প্রান্তিক নগরে,পড়েছে
দুর্ভিক্ষের হাহাকার,
একজোট প্রজা আন্দলনের
নিয়েছে আকার।
বিদূষক কেমনে হইলো সাহস এদের।
কারা করিল একজোট সবে।
আন্দোলনের জ্ঞান পাইলো
কি করে এই সব চাষা।
কেমনে পাইলো এরা
বিদ্রোহের ভাষা।


বিদূষক কহে রাজন,
কিছু যুবক পেয়েছে বহিরাগত
শিক্ষার চমক।
এরা অবজ্ঞা করেছে আপনার
আদেশ,আপনার ধমক।
কিছু শিক্ষার অঙ্গন গড়েছে এরা
নগরে,প্রান্তিক গ্রামে গ্রামে।
তারই প্রভাব পড়েছে
চাষার কর্মে ধর্মে মর্মে।


বা বা বিদূষক উচিত কর্ম করেছে
ওই শিক্ষিত যুবকের দল।
কি বাতাস এলো সব কিছু
করে দিলো বদল,
বেড়ে গেল নির্বোধ
প্রজা কুলের মনোবল।


ডাক সবে দেখিব নয়ন ভরে তাদের,
আয়োজন করো বহুমূল্য উপঢৌকনের।
সভা মাঝে পুরস্কৃত করি
আয়োজন করিব সমাপন।
মন্ত্রীর আদেশে সভা মাঝে
এলো যুবকের দল।


রাজন কহিল,
করেছ উত্তম কর্ম
যা ছিল রাজ কার্যের অনভিপ্রেত।
তোমাদের কৌলিন্যে অবোধ
প্রজাকুল হয়েছে জাগ্রত।
তোমাদের দিলাম আমি
যাবৎজীবন কারাবাস।
অন্ধকার কাল কূঠরিতে পড়বে
তোমাদের শেষ নিঃস্বাস।


মন্ত্রীরে ডাকি পুনঃআদেশ
দিল রাজন,
বন্ধ হোক শহরে নগরে প্রান্তিক
গ্রামে আছে যত শিক্ষার অঙ্গন।


আদেশ মোর যথাযথ
পালন হোক বিধির বিধান মতো।
উলঙ্ঘন করে যদি কেউ
কালকুঠুরি সাজা পাবে
এদের মতো।


মনে রেখো মন্ত্রী,
সবাই যদি শিক্ষার জ্ঞান পায়
রাজ কার্য্য চালানো হবে দূর্দায়।
রাজ্যপাট যাবে ঘুচে,রাজা,মন্ত্রী
যাবে মুছে।


আরো কহে রাজন
মন্ত্রী তোমার কেশ গুচ্ছ
হয়েছে সাদা,
মাথায় কি ভরে রেখেছো গোবর,কাদা?
এই জ্ঞান তোমার মধ্যে
কবে হবে বিকশিত।
আজি হতে নির্মূল কর বিদ্রোহী, শিক্ষিত,
জ্ঞানের আলোয় প্রজা আছে যত।