রোমন্থন
।।।।।।।।।।।।।।।।
গোধূলির রক্তিম আলোয় দাঁড়িয়ে,
মন করে রোমন্থন,
জীবনের শেষ বেলায়
নেই কোনো চাওয়া পাওয়ার আশা,
নেই কোনো যৌবনের আবেগী ভাষা।


নেই কোনো অদম্য উচ্ছাস,
নেই আর ইচ্ছা শক্তি।
নেই আজ সেই উদ্দাম গতি,
নেই আর সেই চেনা ধমনীর রক্তচাপ,
জীবন এখন চেনা পথে অচেনা গজমতি।
কালের টানে সবাই এগিয়ে গেছে,
সবাই গেছে ছেড়ে,
যারা টিকে আছে তারাও ধুঁকছে,
অমাবস্যার আলোয় জ্বলে পুঁড়ে।


রোমন্থনে,
ধুলো মাখা স্মৃতি গুলো
জেগে ওঠে মাথা নেড়ে,
মনের মাঝে কিছু বেপরোয়া ভাব
বেঁচে আছে দুর্বল খুঁটিজুড়ে।
মনের সেই অদম্য বেগ
আমরাই গড়বো গর্বের দেশ,
মুছে দেবো জমে আছে যত
সমাজের দ্বেষ-বিদ্বেষ।
মুছে দেবো,
আছে যত নবীন প্রবীণ
তরুণের জেহাদি ক্লেশ।


আমি দুর্বার আমি দুর্জয়
আমি দুর্বোধ্য প্রাচীরের দুর্গ করবো জয়।
আমি নির্মম,আমি নির্দয়
আমি পাইনা কোনো রক্ত চক্ষুকে ভয়।
আমি গিরিধারীর সুদর্শন চক্র,
আমি পরিত্রানের মুনি অষ্টবক্র,
আমি গঙ্গা ভগীরথের।
আমি অত্যাচারীর রক্তে খেলি হোলি
আমি বিজয়ীর বিজয় রথ
আমি বেদম সাহসে
পাষণীর পাষান করবো ক্ষয়।


আমি ব্যাঙ্গতে বসি,
বিদ্রুপের লাগাম কষি,
আমি শতরঞ্জে শকুনির পাশা,
আমি কাটি নকশা,বন্ধ করি
সর্বগ্রাসীর সর্বনাশের তামাশা।
আমি প্রহেলিকা,আমি ভেদ করি
কুহেলির কুহেলিকা।
আমি অগ্রে অনামি তুফান,
পিছে দুর্বলের দাবানলের বাণ।
আমি নাবিক,আমি কান্ডারি
আমি উত্তাল সমুদ্রে
শক্ত হাতে ধরি
হাল ভাঙা পাল ছেঁড়া তরী


হারিয়েছি সেই সব প্রাণ
যাদের কথা কেউ রাখেনি কখনো,
যাদেরকে আজ কেউ করেনা সম্মান।
সবই আজ রুপকথা
এখন সবই
নবপত্র পল্লবের কল্কিপুরাণ।