সাগরিকা নবম পর্ব
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
হরিহর দেখ নৌকার আলো গুলো
কেমন একসারিতে জ্বলছে।
যেন মনে হয় কোন রানীর গলায়
রত্নজ্জ্বল হার যেন ঝুলছে।
দাদাবাবু আর কাব্য করতে হবে না,
সময় নেই আর আপনার কাব্য শুনতে।


জানিস হরিহর
যেদিন তোর দিদিমনিকে
দেখেছিলাম প্রথমবার,
একটা নীল আসমানী শাড়ি,নীল ছাতা
গলায় ছিল নীল রঙের একটা হার।
কি মন্মহিনী রূপের চ্ছটা
টানা টানা কাজল কালো চোখ।
টোল ফেলা ওই গাল, হাসি হাসি মুখ
আর টুকটুকে লাল দুটো ওই ঠোঁট।


বেশ বেশ হয়েছে অনেক
আমি গেলাম নীচে আমার
অনেক কাজ পড়ে আছে।
হরিহর তুই আমায় একটু বল
তুই কখনো আপনি,
কখনো তুমি বলিস
দুয়ের মধ্যে বাপ্যার টা কি বল।
বাবু আমি মুখ্য সুখ্য মানুষ
ভুল ধরে লাভ কি।
রাতে কি খাবেন বলুন
সেটাই বানাচ্ছি।


তোর দিদিমণি শাড়ি পরতে জানত না।
প্রথম যেদিন শাড়ি কিনতে
গেলাম দোকানে
কেমন করে পরতে হয় ?
ও হেসে বলল কে জানে!
দোকানের সেলস গার্ল গুলো
জিন্সের ওপর শাড়ি পরিয়ে দিলো।


আয়নায় সামনে দাঁড়িয়ে
ঘুরে ফিরে দেখে একটু খানি ভাবলো।
তারপর হাসি মুখে তাকিয়ে বলে
আমায় কিন্তু সুন্দর লাগছে
এবার তুমি কিছু বলো।
আমি তখন বাক্য রোহিত
অবাক হয়ে আছি।
শুধু বললাম এবার তুমি
পুরো মাত্রায় বঙ্গনারী।
যাকে আমি ভালোবাসি।


তিনটে শাড়ি পছন্দ করে ছিল,
আকাশী নীল,হালকা গোলাপি
সবার থেকে পছন্দের রং ছিল
ময়ূরকন্ঠী জেলি।
দাদাবাবু হ্যাঁ
দিদিমনি চা কফি কিছুই
বানাতে জানতো না,
হাতে গরম জল পড়ে গিয়েছিল,
তাই না দেখে মা ঠাকুরণ আমার
ওপর বেজায় গেল রেগে।
বলল তুই দিদিমণিকে রান্না ঘরে
কেন দিলি যেতে।
দিদিমণি বলল হরির কোনো দোষ নাই।
আমি নিজের ইচ্ছাতেই এলাম আই।


ক্রমশ...........


আই>মা