সাগরিকা একাদশ পর্ব
///////////////////
বাজার থেকে ফিরে এলো
দাদাবাবু সেই যে শয্যা নিলো
উঠলো না বিছানা ছেড়ে
তিন মাস হলো।
কথাবার্তা বন্ধ সব,বাক্য রোহিত নির্বাক।
দুচোখ মিলে তাকিয়ে থাকেন
জানিনা কবে হবেন সবাক।


অনেক কষ্টে বোঝালেন বাবু
আকার ইঙ্গিতে
তোর দিদিমনিকে দেখছি বাজারে।
কথা বলতে চাইলাম শুনলো
না সে কথা।
পাশ কাটিয়ে চলে গেল
কটু কথা বলে।
তিনমাস হলো বিছানায় শুয়ে
আছেন বাবু
ধীরে ধীরে ব্যাধি বেড়ে শরীর
করে দিচ্ছে কাবু।


মনোজ উকিল এসে বলে
ফেরার গঞ্জের কারখানা
আগামী কাল উদ্বোধন হবে।
স্কুলটার আর আধা বাকি আছে
সম্পুর্ন হতো আরো ছয় মাস যাবে।
নতুন তিনটে কারখানার জমি পাওয়া গেছে,
চাষীর পাওনা দিতে সময় দু মাস লাগবে।


দিদিমনিকে খবর দিলাম
দাদাবাবুর শরীরে ভীষণ খারাপ।
তোমায় একটু দেখতে চায়।
উত্তর আসে মরুক বাঁচুক
আমি দেখতে চাই না আর,
দাদাবাবু তোর তুই সামলে রাখ।


হরি কেঁদে বলে
মা ঠাকুরণ কত্তা মশাই
আসুন তাড়াতাড়ি,
দাদাবাবুর শরীর খারাপ
হয়েছে ভীষণ বাড়াবাড়ি।
ডাক্তার এলো চিকিৎসা হলো
হলো বিদেশ যাত্রার কথা ।
দাদাবাবু বিদেশ গেলো
সুস্থ হওয়ার তরে,
জানিনা তারা কেমন আছেন!
রোগী নিয়ে বিদেশ বিভূঁই পরে।


প্রভু যেমন থাকুক,
সুস্থ থাকুক সারা জীবন ধরে।
তাড়াতাড়ি যেন ফিরে আসে
গ্রামের এই বাস্তু ভিটের পরে।
সেদিন থেকে টম,ক্যারো,হরিহর
হরির ভরসায় এই স্মৃতি মাখা ঘরে।


*******************


এখন কার মতো সমাপ্ত