শেষের শুরু
///////////////////


শোনরে দানবের দল,
আমি চাইনা আর শুনতে তোদের হুঙ্কার গর্জন ।
আমি চাইনা আর তোদের পদতলে
ধুঁকে ধুঁকে বাঁচতে,
আমি চাইনা আর পিশাচের রক্ত নদীর
ধারায় মিশে থাকতে।
মস্তিষ্কে বাড়ছে উত্তরোত্তর রক্ত ক্ষরণ
ধমনীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে রক্ত চাপ।
শহরে নগরে হাটে প্রান্তরে উঠেছে একই আওয়াজ
আবাল বৃদ্ধবনিতা দিচ্ছে মুক্তির ডাক ।
শোন রে দানবের দল,
আজ আমি আর নই একা
মোর সাথে জুড়েছে  লক্ষ কোটি সূত সুতা।


শোন রে দানবের দল,
আজ আমি রিক্ত
রক্ত-সিক্ত বধ্যভুমিতে দাঁড়িয়ে
ভয় পাইনা তোদের রক্ত চক্ষুকে।
আস্ফালন হুঙ্কাকারের যত হোক বিচ্ছুরণ-প্রতিসরণ।
তৈরি মোরা আবারও একবার
রক্ত গঙ্গায় করবো স্নান
শুরু হবে এবার নির্মম প্রতিফলন।


শোন রে দানবের দল
পতনের দামামা বেজেছে কালের ঘূর্ণি স্রোতে,
ধরনীর ধুলোয় মিশিয়ে দেব-
তোদের পিশাচী বিজয় কেতন ,
আগামীর নব প্রভাতে।
সংহারের যে স্রোতে করেছিলি অবগাহন,
সেই স্রোতে মিশে গেছে পলিমাটি বালি,
তোদের চিতার কাঠ ।
ভরে গেছে হালাহলে ধরনী ও পবন
অন্তরে অন্তরে শুরু হয়েছে দহন
করবো তোদের এবার সমূলে নাশ।


যে বিষ বৃক্ষের রোপন হয়েছিল তোদের হাতে
যে পিশাচী তপবন বড় করেছিস তোরা দিনেরাতে
সবই করবো এবার কর্তন-ছেদন,
করবো সমূলে উৎপাটন তোদের সম্মুখে।
মিশিয়েছিস গরল অমৃত পেয়ালায় -
শকুনির চাতুরির সাথে।
ভুলে যাস না
শেষ চাল চালবো মোরা
পাশার গুটি এখন মোদের হাতে।


হিসেব নিকেশ চাইনা আজ
চাই না জয় পরাজয়,
মুছে দেব তোদের চির তরে
এই ধরনীর ভূমি পরে।
আগামীর তরে করেছি অমৃতের বীজ বপন।