শিক কাবাব
/////////////////
শোন'রে গ্রামের মোড়ল মহাজন,
বাগদীর ছেলে আমি
নাম মোর যোগেশ বর্মন।
অনেক করেছি তোকে সেলাম নমস্কার
মাথা ঝুকে করমর্দন।
কি দাম দিয়েছিস তার
দিনে দিনে সয়েছি তোর অন্যায় অবিচার।
বদলে দেবো পুরানো সেই ইতিহাস
আর নয় মাথা ঝুঁকে নমস্কার,
আজ থেকে মারের বদলা মার।


উপকারের নাম করে
পাঁচ মাথার ধারে-
পাঁচ বিঘা জমি নিয়েছিস জোর করে।
নদীর পাড়ে ছিল বিঘা দুই মাছের ভেড়ি।
তাও গুন্ডা বাহিনী দিয়ে দখল করেছিস তড়িঘড়ি,
সর্বসুম্মুখে দিনে রাতে চলে তোর কালো  বাজারি।
গত বর্ষায় তোর কাছে গেছিল মোর বাপ
পায়ে ধরে করল কত আকুতি মিনতি,
বাবু ফিরিয়ে দাও জমিজমা ,
না খেয়ে মারা যাবে পোলারা।
পায়ে পড়ি বাবু ক্ষমা দাও,
তুমি এই অধমের গতি।
তবুও হলোনা তোর সুমতি


শুনলি না কথা বুঝলি না ব্যথা,
মাথা ফাটিয়ে পুঁতে দিলি ভেড়ির ওই পাঁকে।
টাকার জোরে কিনেছিস পুলিশ প্রশাসন
নিজের মতো আপন করে।
কেউ শোনেনি সেদিনের কথা
কেউ  বিশ্বাস করেনি মুখের ভাষা।
কত কেঁদেছি বার বার বাবুদের পায়ে ধরে।


সেদিন ও ছিল বর্ষাকাল,
লক্ষীবার
আজও বর্ষাকাল
সামনে জ্বলছে চিতার শিখা লেলিহান।
আজও লাক্ষীবার
সন্ধ্যে হতে বাকি কিছু আর।
চিতার শিখা বলছে বারবার,
তুলেদে এবার বানাবো ওই দুর্বৃত্তের শিক কাবাব।
মনে পড়ে মোড়ল-
তুই বলেছিলি সেদিন যদি ফিরে না যাস
দু জনেরই বানাবো শিক কাবাব,
বাগদির বংশে বাতি দিতে থাকবে না কেউ আর।


আজ এই চিতায় বানবো তোর শিক কাবাব
ছড়িয়ে দেব ভাগাড়ে,আছে যত গ্রামের চারিধরে।
চিল,শকুন শিয়াল কুকুর খাবে পেট ভরে।