তারের পুতুল
///////////////////


আজ আর বেলা নেই
কাজ পড়ে রইল অনেক,
সূর্য্য এখন ডুবুডুবু
রংবে রঙের স্বপ ছড়িয়ে আছে  হরেক।


দুহাতে ঝোলা ভরেছি আমার আমার করে,
উর্ধশ্বাসে,বাক চাতুরির সাথে,
দৌড়ঝাঁপ করে
ভরেছি মনের সুখে,
দিনে রাতে আরাধনা করেছি
থেকেছি কাঞ্চন সুখে বিভোর,
ভুলেছি গরমের তাপ,
দেখিনি কোনো বসন্তের সোহাগ,
খুঁজিনি কখনো শরতের শিউলি ভোর,
কখনো করিনি জয়গান তোমার,
কভু ধরিনি তোমার নামের ডোর,
শুধু গড়েছি,ধরেছি ,শক্ত করেছি,
বিষয়ের বিষের বন্ধনডোর।


আজীবন ধরে করেছি বপন বিষয়ের বীজ,
ছলনা,চাতুরির বৃক্ষ
অক্লেশে করেছি যত্ন সহকারে রোপন।


সায়হ্নে এসে দেখি ঝোলা হয়েছে ভীষণ ভারী,
বুঝলাম,রয়েছে মনি মানিক্য
দামী গ্রহ রত্ন
বা আছে আরো কিছু উপাদান মঙ্গলকারী।
খুঁজে দেখি ঝোলার ভেতরে,
খালি আছে ঝোলা -হয়নি ভরা,
কিছুটা জায়গা ভরেছে
দুহাতে জমানো কাঁকরে।,
চোখে এলো অশ্রুধারা।


বুকের ধুকপুক বাড়ে মনে জাগে ভয়  
কোথায় ভুল হলো !
কোথায় করলাম জমানো রত্ন ক্ষয়।,
না বলে সূর্যটা ডুবে যাবে সবার আগচরে,
ভয়টা বাড়লো আরো বেশি করে।
অন্ধকারে ডুবে যাবে এক্ষুনি আকাশ,
তারার মিটিটিটি আলোয় হবে না কোনো কাজ।
মূল্যায়নের সময় নেই আর আজ।


তবে কি আমার ঝোলা ছিলো ছেঁড়া?
তাই যদি হবে কাঁকরে কাঁকরে
কি করে হলো এতটা ভরা।
আমার আমার করি যা কিছু
ছিল সঞ্চয়,
তা ছিল সবই মায়া সবই চঞ্চলা,
এতো রাজনীতি করে,
কূটচাল চেলে সবই রইল নিস্ফলা।


আজি সায়হ্নে বুঝিলাম,
বৃথা করেছি আমার আমার সবই খেলা তাঁর।
আমরা সবাই তাঁরই হাতের তারের পুতুল ,
শুধু ইশারায় নেচেছি দিনেরাতে বারবার।
আজি আর সময় নাই
যেতে হবে এবার,
প্রভু ,
সবাই কে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করো,
চেতনার উন্মেষ হোক সবার।
কামিনিকাঞ্চন মায়ার খেলা ধরাভূমে রবে চিরন্তন।
অমল আলোর রশ্মিছটায়
অষ্ট মার্গের পথে হোক
সবার উত্তরণ।