ভালোবেসে সখি
*****************
টুকরো টুকরো গল্প গুলো
জমে আছে ব্যাথার মূলে।
মাঝে মাঝে মোচড় দিয়ে
উঠছে জেগে মাথা তুলে।
ধুলো জমা স্মৃতির কথা
আছে বেচেঁ বুকে গেঁথে
অবঝা ঝাপসা কথা গুলো
দিনেরাতে আসছে ভেসে।


নপুর বাজে রিনিত ঝিনিত
শব্দ বাজে বুকের খোলে
কানে কানে ভেসে চলে
পায়ে পায়ে চলার তালে
লাল মাটির পথে পথে
স্কুলে যেতাম একসাথে
গল্প করে তর্ক করে
কখনো সাইকেলে কখনো পায়ে।
হেঁটে হেঁটে গাছের ছায়ে ।


আর্ট কমার্স সবার সাথে।
স্কুলের পিছে শ্মশান মাঠে
ক্লাস পালিয়ে আড্ডা মারা
দুয়ে মিলে গল্পে গল্পে আত্মহারা।
দিনে দিনে মনের ঘরে।
নিলে তুমি জায়গা করে,
বলবো বলবো মনের কথা
উড়ু উড়ু প্রানের ভাষা
দিনে রাতে যত্ন করে
রাত কেটেছে ভয়ে মরে।


একদিন বৃষ্টিভেজা পথের ধারে
বলাই কাকা নজর করে
দুজনে দাঁড়িয়ে দীঘির পাড়ে।
কে রমণী? জিগ্যায় মোরে।
দিনটা গেল ভয়ের ঘোরে।
এমনি করে একাদশ শ্রেণী
হলো পার,
হঠাৎ দেখি স্কুলে আসা বন্ধ তার।


বন্ধ ঘরে অন্ধকারে মনের ঘরে
বিষাদ শুধু এলো ভরে,
পড়াশুনো উঠলো পাটে
অপেক্ষায় থাকি শ্মশান মাঠে।
কাটলো এবার কয়েক মাস
দ্বাদশ শ্রেণী ভরে শুধু দীর্ঘশ্বাস।
একদিন মিত্র মুখে খবর এল
স্কুলটাই তার পিতা বদলে দিল।


বারো কিলোমিটার দূরে স্কুল
সকাল বিকেল দৌড়তে থাকি
হাতে নিয়ে গোলাপ ফুল।
যদি ফিরে তাকায় সে
যদি ভাঙে মনের ভুল।
হতাশ মনে বিফল রথে
বর্থ্য হয়ে ফিরে এলাম,
এই প্রথম দ্বাদশ শ্রেণীতে  
মতি ভ্রমে গাড্ডু খেলাম।


হঠাৎ করে চারিধারে কেমন,
যেন অন্ধকারে যাচ্ছে ভরে।
সবাই কেমন দূরে দুরে
চুপি চুপি যাচ্ছে সরে।
আবেগ কথার ইতি টান
প্রেয়সী পাড়ি দিল দূর স্থান।
কষ্টে শিষ্টে জীবন খানা
রইল বেঁচে দিন মজুরের কারখানায়।
দিন মজুরের তকমা আজ
তাড়িয়ে বেড়ায় দিন রাত।
এগারো ক্লাসের মনের ভুল
দিচ্ছি এখনও ভুলের মাশুল।


বছর আঠারোর পরের কথা
একদিন পথে দৈবাৎ দেখা
কত কথা হয় না শেষ
এখন শিল্পপতির গৃহিণী সে।
দেখতে সে আগের থেকে
হয়েছে পরী।
মাপা জোকা কথা তার
এখনোও সে রয়ে গেছে
আগের মতোই মন হরি।