একটি স্ফুলিঙ্গের গান
রীতেশ কর্মকার
কোন এক স্ফুলিঙ্গকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল বিষাক্ত মিনারেল ওয়াটার, ফ্রস্টবাইট পঁচে যাওয়া একজোড়া লোমশ হাত আর শ্যাওলাধরা একটি জলপাই রঙের বুট।
অসম পরিকল্পনা চলছিল মৃতবৎ চারদেয়ালের মাঝে।
একদল গুপ্তঘাতককে ভাড়া করা হল, দেয়া হল একথলে চকচকে লোভ।
জঘণ্য হিসেবে ওলট-পালট হয়ে গেল মরচেধরা সাহস,
তবুও চেষ্টা করা হল ইরেজ করা হবে স্ফুলিঙ্গকে,
সকল মানুষের সেরিব্রাল হেমিস্ফিয়ার থেকে।
একফোঁটা মিনারেল ওয়াটাল ফেলতেই, তিনি ছড়িয়ে গেলেন সকল ঘুমন্ত, অবচেতন ও আন্দোলনরত হৃদপিন্ডের শিরা উপশিরাতে।
অপহৃত আত্মারা বেড়িয়ে এল অগ্নিশিকল ছিন্ন করে,
যোগ দিল গগন বিদীর্ণ চিৎকার, মৌসুমী বাতাসের আস্ফালন ও নীল প্রজাপতির দল।
অশান্ত স্ফুলিঙ্গ উচ্চারণ করলেন-
আমি বেদুইনের পদধ্বনির আগুন,
আমি কলেবর, আমি রক্তাত্ব ফাগুন।
ধূসর আকাশে চষে ফেলা আমি মৃত্যুহীন ফিনিক্স পাখি,
চারকয়েলের রং দিয়ে আমি মানুষের ছবি আঁকি।
জাগো মেঠোপথ গেয়ে ওঠো আজ, মুক্তির গানে গানে,
জনপদের কবিদের সুর, ভেসে আসে অভিমানে।
হিল্লোল কাঁদে আলসে ভোরে মিশে ছিল হাহাকার,
পদচিহ্ন তার মুছে দিতে ছিল অন্যায় দুর্বার।
আজ জঘণ্য পাপ বেধেছে বাসা দুর্লভ অস্থিতে,
ছায়াপথ জুড়ে বয়ে যায় কি অন্যায় স্বস্তিতে!
ভীষণ তাপদাহে জীর্ণ পাপ নিঃচিহ্ন হবে, যোজন দুরে।
গাইব গান, পাখির ডানার ঝাপটায় মুছে যাওয়া গোধূলি বাতাসে,
লিখব কবিতা সূর্যের বিকিরনের ছন্দে ছন্দে,
জোছনা বৃষ্টিতে নেচে যাব ধূসর বালুর পরমানুতে।
প্রতিটি নগ্ন পাপের সামনে উপস্থিত থাকব প্রবল জিঘাংসা হয়ে।