ফিরে এসো,মুক্তিবর
রীতেশ কর্মকার


তোমার লোহিতকণিকার ধারা ঠিক আছেতো, অচ্ছুত।
বারবার হৃদপিন্ড নিংড়ে,যতবারই তোমার বেদনা একগুচ্ছ লাল গোলাপের মাঝে এ সমাজকে উপহার দাও না কেন তা নিছক-ই বাতুলতা মনে হতে পারে এ নিকৃষ্ট সমাজের কাছে।
কতটা স্পর্ধা দেখিয়েছিলে তুমি ! অশান্ত হুইসেলকে উপেক্ষা করে নিষিক্ত আন্দোলনে ভরে দিয়েছিলে বাসন্তী স্ফুলিঙ্গ।
বিবর্ণ রোদে কোটি কোটি নির্দেশিতরা  সন্ত্রস্ত করছিল শাণিত রক্তচক্ষুকে।
নেতৃত্বের অসমবহরকে উপেক্ষা করে তুমি হয়ে উঠেছিলে প্রজ্বলিত  কিংবদন্তী।
সময়, শৃঙ্খলাকে ভেঙ্গে দুমড়ে-মুচড়ে তুমি যেন একটি প্রতিবাদী মশাল।
মৃত্যুর বিষাক্ত ছোবলকে মুঠোয়পুরে মুক্ত করেছিলে অবরুদ্ধ স্বাধীনতা।
তোমার হৃদপিন্ডের লোহিতবাহিনী রাজপথে  মিশে খোঁজ করছিল মুক্তির উন্মেষ পথের।
ফিরে এসো মুক্তিবর,ফিরে এসো
তোমার অনন্ত স্পর্শে দূর হোক সকল অসমতা,খুলে যাক দিগ্বিজয়ের রুদ্ধদ্বার।