নিঃস্তব্ধ চোখের জল
রীতেশ কর্মকার


চিতার বুকে জ্বলে নিঃশব্দ হাহাকার
নিঃস্তব্ধ চোখের জল পরে ধোয়া উঠে জ্বলন্ত কয়লায়।
আগুন জ্বলে বেহিসেবি আর্তনাদে, মাটির প্রদীপ আর বধিঞ্চু সঞ্চয়ে।
পুড়ে যায় রাজহাঁস, লক্ষীপেঁচা, নেংটি ইদুর।
লোমশ হাত ইশারাদেয় অগণিতদের।
বাতাসের ধাওয়ায় ভেসে যায় পঞ্চাননের কষ্ট, আশা, নির্ভরতা।
ভয়ার্ত বালুয়ারি জেগে থাকে অশান্ত ধ্বংসস্তুপে- কন্ঠ চেপে শরে ভয়ার্তদের।
বিক্ষিপ্ত কবিতার হাত পেচিয়ে রাখে ক্ষ্বদ্ধ ভেজা রশি।
ধরিত্রী নিঃশব্দে সাক্ষী হয় অপ্রকাশিত শব্দের
সব কষ্টরা একত্রে অপেক্ষায় দরজার পেছনে
মুখ বের করে ধূসর চোখে তাকায় কাছের দিগন্তে,
সবআলো লুকোয় অনন্ত আঁধারিতে।