যে চুল তুমি খোলা ছেড়ে দিয়েছো,
আমি যদি কখনো তেল হতে পারতাম;
সেই চুল আমি বেনি বেঁধে রাখতাম।
যে সিঁথি তুমি শূন্য করে রেখেছো,
আমি যদি কখনো সিঁদুর হতে পারতাম;
সেই সিঁথি আমি লাল করে দিতাম।
যে কপাল তুমি খালি করে রেখেছো,
আমি যদি কখনো টিপ হতে পারতাম;
সেই কপাল আমি সম্পূর্ণ বদলে দিতাম।
যে চোখে তুমি আমায় তাকিয়ে দেখছো,
আমি যদি কখনো কাজল হতে পারতাম;
সেই চোখ আমি কালো করে দিতাম।
যে নাক তুমি নিখুঁত করে রেখেছো,
আমি যদি কখনো নোলক হতে পারতাম;
সেই নাক আমি ফুটো করে দিতাম।
যে কান তুমি কানা করে রেখেছো,
আমি যদি কখনো দুল হতে পারতাম;
সেই কান বেয়ে আমি নিচে ঝুলতাম।
যে মুখ তুমি উদাস করে রেখেছো,
আমি যদি কখনো দাঁত হতে পারতাম;
সেই মুখ আমি হাসিতে ভরিয়ে দিতাম।
যে ঠোঁট তুমি বিবর্ণ করে রেখেছো,
আমি যদি কখনো লিপস্টিক হতে পারতাম;
সেই ঠোঁট আমি রঙিন করে তুলতাম।
যে গাল তুমি রেগে ফুলিয়ে রেখেছো,
আমি যদি কখনো চুমু হতে পারতাম;
সেই গাল আমি লাল করে দিতাম।
যে গলা তুমি উজাড় করে রেখেছো,
আমি যদি কখনো মঙ্গলসূত্র হতে পারতাম;
সেই গলা জুড়ে আমি শোভা পেতাম।
যে বুক তুমি দোদুল্যমান করে রেখেছো,
আমি যদি কখনো বক্ষবন্ধনী হতে পারতাম;
সেই বুক আমি শক্তভাবে বেঁধে দিতাম।
যে পেট তুমি চর্বিহীন করে রেখেছো,
আমি যদি কখনো মেদ হতে পারতাম;
সেই পেট আমি মেদবহুল করে তুলতাম।
যে নাভি তুমি আবৃত করে রেখেছো,
আমি যদি কখনো বাতাস হতে পারতাম;
সেই নাভি আমি উন্মুক্ত করে দিতাম।
যে যোনি তুমি অন্তর্বাসে লুকিয়ে রেখেছো,
আমি যদি কখনো লিঙ্গ হতে পারতাম;
সেই যোনি আমি রমণ করে ছাড়তাম।
যে হাত তুমি ময়লা করে রেখেছো,
আমি যদি কখনো মেহেন্দি হতে পারতাম;
সেই হাত আমি সুন্দর করে তুলতাম।
যে পা তুমি পাথর করে রেখেছো,
আমি যদি কখনো নূপুর হতে পারতাম;
সেই পা আমি প্রাণবন্ত করে তুলতাম।
যে মন তুমি বিষণ্ণ করে রেখেছো,  
আমি যদি কখনো আনন্দ হতে পারতাম;
সেই মন আমি খুশি করে দিতাম।
যে ইচ্ছা তুমি অপূর্ণ করে রেখেছো,
আমি যদি কখনো কল্পতরু হতে পারতাম;
সেই ইচ্ছা আমি পূরণ করে দিতাম।
যে জীবন তুমি বন্দী করে রেখেছো,
আমি যদি কখনো মুক্তিদাতা হতে পারতাম;
সেই জীবন আমি মুক্ত করে দিতাম।
যে তুমি নিজেকে নিঃসঙ্গ করে রেখেছো,
আমি যদি কখনো তোমার হতে পারতাম;
সেই তোমাকে আমি জীবনসঙ্গিনী বানিয়ে ছাড়তাম।