সংরক্ষিত সংখ্যালঘু সুখ উপভোগের শেষে,
ফিরে যেতে হয় আবার মন খারাপের দেশে।
প্রাণখুলে হাসতে চাইলে একি বিড়ম্বনা হায়!
আনন্দের বাঁধ ভেঙে দুঃখনদী যে বেরিয়ে যায়।
যেখানে শেষ হয়েছিল প্রথম প্রেমের পাকদন্ডী,
ঠিক সেখান থেকে শুরু হয়েছে গার্হস্থ্যের গন্ডী।
ওঁত পেতে আছে কাকরূপী নিন্দুক-সমালোচক,
আমাকে নিয়ে কেচ্ছা ছড়ানো নাকি মুখরোচক।  
আবেগ আর অনুভূতির সঙ্গমস্থলে অবগাহন করি,  
ভাষার অভাবে কবিতাহীনতায় হাত পা ছুঁড়ে মরি।
অপ্রিয় সত্যটা বলে প্রতিবাদীর বদনাম কুড়িয়ে,
শত্রুদের অসহযোগিতায় হাঁটছি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।
বিরহকাতর এ বুকের বেহালার তারে তারে,  
কে যেন নিষ্ঠুর হাতে ছড় চালায় বারে বারে।
লোকালয়ের ভিড়ের মাঝে মুখ লুকিয়ে লুকিয়ে,
নীরবে নিভৃতে কেঁদে চলেছি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে।
অঝোর ধারা দুচোখ দিয়ে ঝরে পড়ছে অবিরত,    
কেউ কি বলতে পারবে অশ্রুর স্ফুটনাঙ্ক কত?