"মা, তুমি কি ছাইপাঁশ রেঁধেছো খাবার?
এটা আমি কিছুতেই খাবো না আর।
ছি: এগুলো কি কোন মানুষে খায়!
একবার মুখে দিলে খালি বমি পায়"।
কথায় কথায় শত দোষ ধরেছি বাবার,
বুড়ো করতে পারে না ঠিকমতো বাজার।
পরিবারে তখন বাবা একাই করতো চাকরি,
আর মা রাঁধতো জ্বালিয়ে চুলোয় লাকড়ি।
তখন সহ্য হতো না ধোঁয়ার গন্ধ,
এখন স্মোকি ফ্লেভার আমার খুব পছন্দ।
ইউটিউবে দেখা যায় কতো কুকিং ভ্লগ,
কলা থেকে আলুর খোসা খায় সব।
আমি এখন বুক ফুলিয়ে চালাই সংসার,
কিন্তু দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে হই জেরবার।
সারাবছর ধরে বাজারে লেগে থাকে আগুন,
সবকিছু নাগালের বাইরে-কুমড়ো থেকে বেগুন।
আকাশছোঁয়া কাঁচা লংকা, আদা আর টম্যাটো,
কতো অর্ডার করবো সুইগি আর জোম্যাটো?
দুশো টাকা প্রতি লিটার রান্নার তেল,
এখন খুব মিস করি বাবার হোটেল।