বিসমিল্লাহ বেডিং হাউস,প্রো:-বিসমিল্লাহ খান;
তিনি সানাই বাজান না,বালিশ বানান।
শরতের শেষে যখন জাগে ঠান্ডা শিহরণ,
তুলোর বস্তা নিয়ে হয় তার আগমন।
সুদূর বিহার থেকে ত্রিপুরায় দিয়ে পাড়ি,
সাইকেলে করে যায় মানুষের বাড়ি বাড়ি।
খালি পেটে পান করে ছাতুর শরবত,
সারাদিন সে করে বাঁচার জন্য কসরত।
যখন চূড়ান্ত হয়ে যায় বিবাহের আলাপ,
লেপ-তোষক বানাতে তাকে ডাকে মেয়ের বাপ।
ধনুর্ধর যেমন ধনুকে চড়ায় তার প্রত্যঞ্চা,
ধুনকরও তার ধুনুরিতে করে শক্তি খরচা।
নাকে গামছা বেঁধে সে তুলো ধুনে,
চোখে সোনালী ভবিষ্যতের রঙিন স্বপ্ন বুনে।
মোটা সূঁচ দিয়ে করে কাপড়ে ঘাই,
চোখের নিমেষে সে করে ফেলে সেলাই।
ফুসফুসে তুলো ঢুকলে সে খায় গুড়-কলা,
হিন্দি উচ্চারণ করে সে বলে বাংলা।
শীত গেলে যখন ব্যবসা মার খায়,
সে তখন তার দেশে চলে যায়।
সেখানে আছে তার দুই বিঘা জমি,
চাষবাস করে সংসার চলে না একদমই।
ঘরে তার স্ত্রী,ছেলে আর মেয়ে;
সে পরিশ্রম করে তাদের মুখ চেয়ে।
আজকাল রেডিমেড কম্বল আর জাজিমের ভিড়ে,
তার দিকে কেউ তাকায় না ফিরে।