ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হয়তো আজ বাজছে ঢাক,
মোর ঘরে মায়ের উলুধ্বনি আর মঙ্গলশাঁখ।
ওগো আমার বনেদি-বিদেশিনী বৈশাখী মেয়ে,
একটি বছর কাটিয়েছি শুধু তোমার পথ চেয়ে।
ত্রিপুরার বর্ষবরণের মেলার উপচেপড়া ভিড়ে,
বাইকের হর্ণ শুনে রিক্সা থেকে চাইলে ফিরে।
তোমার মাথার তালু চিরে উৎপন্ন ঐ শূণ্য সিঁথি,  
যেন সিঁদুরে রাঙিয়ে দিয়ে যাবার দেয় অনুমতি।      
তোমার কোমড় পর্যন্ত ছড়ানো ঘন কালো চুল,
যেন সুদূর দিগন্ত জুড়ে বিস্তৃত সমুদ্রের উপকূল।  
তোমার তুলিতে আঁকা একজোড়া পাতলা ভুরু,  
যেন কোন অখ্যাত পল্লীগ্রামের মেঠোপথ সরু।
তোমার চোখের নিরীহ-নিষ্পাপ-নিষ্পলক দৃষ্টি,
যেন কবির কঙ্কালের মাঝে করে কবিতার সৃষ্টি।
তোমার দুটি কোমল ঠোঁটের ফাঁকে মিস্টি হাসি,
যেন বলছে আমায়,"আমি তোমায় ভালোবাসি।"
তোমার বুকের উপর বাতাসে দুলন্ত হাল্কা ওড়না,
যেন পাহাড় বেয়ে নেমে আসা খরস্রোতা ঝরনা।
তোমার সিল্কের সালোয়ার আর কটনের কুর্তি,
যেন নবযৌবনের বাঁধনহারা উল্লাস আর ফুর্তি।
কোন দেশে থাকো তুমি? কোথায় তোমার ঘর?
কোনদিন কি এক হবে আমাদের হাতের কড়?
স্বপ্নে তোমার দেখা পাই প্রতিদিন নিশুতি রাতে,
আবার জাগরণে তোমায় হারাই পরের প্রভাতে।