অঝোর ধারায় একটানা বৃষ্টি থামার পরে,
শাটার বন্ধ করা শহরের টনক নড়ে।
হঠাৎ করে অনুভূত হয় ঠান্ডা শিহরণ,
হিমেল হাওয়ার ঝাপটায় শুরু হয় কম্পন।
চিকচিক করে যখন উঠে সোনালী রোদ,
পিপাসার্ত পৃথিবীর দূর হয় পিপাসা বোধ।
মেঘলা আকাশ হয়ে যায় সম্পূর্ণ পরিষ্কার,
প্রকৃতিকে নতুন করে করা যায় আবিষ্কার।
জানালা খুলে একবার দেখলে বাইরের ছবি,
বেরসিক ব্যক্তিও অনায়াসে হয়ে যাবে কবি।
অনিচ্ছাসত্ত্বেও স্নান করে বসে গাছের শাখায়,
বেচারা কাক তার ভেজা শরীর শুকায়।
তার মাথা থেকে শুরু করে লেজ,
বৃষ্টির জলে ধুয়ে মুছে দেখায় সতেজ।
চারিদিকে বিরাজ করে এক অপূর্ব নির্মলতা,
মৃদুমন্দ বাতাসে দুলে অমলতাস ফুলের লতা।
আকাশমণি ফুলের পরাগ রেণু মাটিতে গড়ায়,
উপর থেকে জারুল ফুল তাকিয়ে চায়।
বিরতির পর আবার শুরু হয় কর্মব্যস্ততা,
কিন্তু কাজে যোগদান করতে শুধুই ইতস্ততা।
গরম গরম ডালের বড়া আর পাঁপড়,
পেলে সানন্দে বসাতে রাজি আমি কামড়।