আমার ডাক ভেদ করেনা তোমার কানের আবরণী,
অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের শব্দে স্তব্ধ মনের সরণি।
লকডাউনের অংকিত লক্ষ্মণরেখা হচ্ছে অতিক্রমণ,
প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নতুন সংক্রমণ।
করোনাকে ঢাকীশুদ্ধ চিরতরে বিসর্জন দেওয়ার পরে,
তোমায় নতুন করে ভালোবেসে তুলবো আমার ঘরে।
কাকপক্ষীও কোনভাবে টের না পায় এমন চুপিসারে,
তোমার সঙ্গে মিলিত হবো রূপনারায়ণ নদের পাড়ে।
মুক্তির বাঁধনহারা আনন্দোল্লাসে সব বিধিনিষেধ ভুলে,
তোমাকে বুকে জড়িয়ে ধরবো মাস্ক আর গ্লাভস খুলে।
তোমার কোমর পর্যন্ত বিস্তৃত আলুলায়িত কালো চুল,
তাতে আমি গুঁজে দেবো রজনীগন্ধা আর গোলাপফুল।
এতদিনের জমানো কথা খরচ করে কাটাবো অবসর,
বেলাভূমির বালি দিয়ে বানাবো আমাদের খেলাঘর।
পশ্চিমা দিগন্তের কোলে সূর্য্য যখন ডুববে অস্তাচলে,
মোরা মিলে মিশে একাকার হবো অশরীরিদের দলে।
তুমি যে আমার আপনের চেয়েও অনেক বেশী আপন,
তোমায় নিয়ে তাই শুধু করতে চাই বিনিদ্র নিশিযাপন।
আমাদের এই সম্পর্ক কিছুতেই মেনে নেবেনা সমাজ,
তুমিও হয়তো দ্বিধাবিভক্ত যেমন তোমার বুকের খাঁজ।
পথ চলতে চলতে এসে উপস্থিত হলে তোমার সদন,
তুমি আমায় হাত নেড়ে বিদায় দেবে করে বিষণ্ণবদন।