আষাঢ় কিংবা শ্রাবণ মাসের বর্ষণসিক্ত সন্ধ্যা,
বাসনার সুবাস ছড়িয়ে ফুটিস তুই রজনীগন্ধা।
নিজের পায়ের উপর দিনরাত ঠায় দাঁড়িয়ে,
তুমি প্রেমিক প্রেমিকার আবেশ দিস বাড়িয়ে।
যেদিন বাবুদের হাতে গেলি বাইজীর বাড়িতে,
সেদিন থেকে তোর নেশা কেশবতী নারীতে।
তোকে খোঁপায় বেঁধে সেজে উঠলে কনে,
প্রথম দর্শনেই স্থান করে বরের মনে।
বাসর রাত মেতে উঠলে মায়াবী জোছনায়,
তোর মালা ঝুলানো হয় ফুলশয্যার বিছানায়।
নিস্তব্ধ নিশীথে আকাশে যখন বিরাজমান পূর্ণশশী,
লজ্জায় লাল নববধূর ঘোমটা তুলতে গড়িমসি।
দলিত মথিত হয়ে শৃঙ্গারের ঘটে বিকৃতি,
সঙ্গমসুখের ব্যথায় সে পায় স্ত্রীর স্বীকৃতি।
নবদম্পতির মিলনের প্রতি মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে,
তুই পড়ে থাকিস চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে।
সকালে সতীত্ব হারানো নববধূ হাঁটে খুঁড়িয়ে,
মেহেন্দি আঁকা হাতে তোকে নেয় কুড়িয়ে।