তুমি অপ্সরা নও তবুও তোমায় ভাল্লাগে,
তোমাকে দেখলে মনে প্রেমের অনুভূতি জাগে।
যখন দেখি তোমার ঐ সম্মোহনী হাসি,
আমি যে হয়ে উঠি কল্পনা বিলাসী।
কিভাবে হলে তুমি বলো এতো স্বার্থপর,
আমাকে পাগল বানিয়ে রাখো না খবর।
তোমার আমার এই যে বারবার দেখা,
এটা হয়তো আমাদের ভাগ্যে ছিলো লেখা।
এইতো সেদিন যখন তুমি যাচ্ছিলে স্কুলে,
তোমার সঙ্গে দেখা হলো পাড়ার পুলে।
দীপাবলীর অমাবস্যা রাতে কালী মন্দিরের সামনে,
তোমাকে দেখে চোখ ফিরিয়ে থাকি কেমনে?
তোমার পরনে ছিল কেরালা কটন শাড়ি,
স্মার্ট ওয়াচ পরে সেজেছিলে আধুনিক নারী।
কে বলবে তুমি অবলা মেয়ে মানুষ?
তুমি যে আগুন জ্বালিয়ে উড়াচ্ছিলে ফানুস।
গতকাল সান্ধ্য ভ্রমণ শেষে ফেরার পথে,
আবার দেখা হলো আমার তোমার সাথে।
তুমি লজ্জায় করে রেখেছিলে মাথা নত,
তাই আমি তোমায় দেখেছিলাম নিজের ইচ্ছামতো।
যতদিন পর্যন্ত তুমি থাকবে এমন অবিবাহিত,
ততদিন তোমায় আমি দেখে যাবো প্রতিনিয়ত।
অবশেষে যেদিন তোমার হয়ে যাবে বিয়ে,
আমি শান্তি পাবো তোমায় চিরতরে হারিয়ে।
তোমার সঙ্গে আমার বয়সের বিস্তর ফারাক,
আমার প্রেম মনের মধ্যেই গাঁথা থাক।
জানি এই প্রেম সমাজের চোখে অবৈধ,
তাই আমার কবিতার মধ্যেই থাকুক সীমাবদ্ধ।