হে আশ্বিন মাসের ষোলকলা সম্পন্ন পূর্ণিমা,
রাতের আকাশে তুমি রচনা কর মধুচন্দ্রিমা।
তোমার কোমল আলোর মায়াবী জোছনা,
ভরিয়ে দিক আমার গোবরলেপা আঙিনা।
উৎসবের তিথিতে বুঝি এলো সেই শুভক্ষণ,  
সুখ-সমৃদ্ধি-ঐশ্বর্য্যের দেবীর হলো আগমন।    
মা দুর্গার বিদায়ে সকলের আপসোস-আক্ষেপ,    
তাতে তুমি লাগাও সান্ত্বনার সঞ্জীবনী প্রলেপ।
সিংহাসনে তুমি বসো মা তোমার পায়ে পড়ি,
তোমাকে পেয়ে আজ সারা রাত্রি কোজাগরী।  
চিড়া-মুড়ি-খৈ-তিল-নারকেল-ঘি-বাদাম-গুড়;  
মায়ের হাতে তৈরী সন্দেশ-নাড়ু বড়ই মধুর।  
লুচি-সুজি, খিচুড়ি-সব্জি রন্ধনে নেই পরিশ্রম,
আমার কুটির যে হয়ে উঠেছে আনন্দ আশ্রম।
সাগু-বুট-মুগ-কিসমিস-বাতাসা-ফলরাশি,
সাজানো ভোগের থালায় যেন দিচ্ছে হাসি।
ধান-দুর্বা-ফুল-চন্দন-তুলসী-ধূপতির ধোঁয়া,  
চারিদিকে যেন বিরাজমান পবিত্রতার ছোঁয়া।  
পঞ্চপ্রদীপ-মোমবাতি-আতশবাজির রোশনাই,
মাটির মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে পুরুতমশাই।        
পাঁচালী পড়ে বধূ পালন করে ব্রতের বিধান,    
কামনা করে সুখে স্বামীর ঘর করার বরদান।  
পূজাশেষে ভক্তিভরে নিলে তোমার মহাপ্রসাদ,
অচিরেই দূর হয়ে যায় সব দুঃখ-কষ্ট-অবসাদ।
নব আঙ্গিক-নব রূপ-নব শোভা-নব কলেবরে,
গৃহলক্ষ্মী হয়ে এসো আমার জীবন আলো করে।