বাড়ির মালিকের নাম কবি মহাদেব জানা,
তার বাড়িতে একদিন চোরেরা দিলো হানা।
কবি সাহেব গিয়েছিলেন দূরে কবি সম্মেলনে,
চোরের দল নিশ্চিন্তে প্রবেশ করলো ভবনে।
সব সোনার জিনিস পরে নিজের অঙ্গে,
স্ত্রীও সেদিন সঙ্গী হয়েছিলো স্বামীর সঙ্গে।
অনায়াসে ঘরে ঢুকে ভেঙে স্টিলের আলমারি,
তারা পেলো শুধু গৃহকর্ত্রীর একগাদা শাড়ি।
তারপরে তারা যখন ভাঙলো আলমারির লকার,
পেলোনা কোন ক্যাশ টাকা কিংবা অলংকার।
তারপরে যখন খুললো কবির টেবিলের ড্রয়ার,
বেরিয়ে এলো এক প্যাকেট সিগারেট চারমিনার।
পেলো একটা লাইটার আর কয়েকটা বিড়ি,
পাশে কিছু কাগজ আর ছেঁড়া ডায়েরি।
আর পেলো একটা পুরানো ঝরনা কলম,
সঙ্গে এক কৌটা মাথা ব্যাথার মলম।
পাশে পড়েছিল একটা হোমিওপ্যাথিক শিশির ছিপি,
আর ঔষধে ভেজা কতগুলি কাটাছেঁড়া পান্ডুলিপি।
ছিলো একটা নষ্ট পুরানো অ্যানালগ ঘড়ি,
আর ছিলো এক পাতা গ্যাসের বড়ি।
বসার এবং শোবার ঘরের চারিদিকে যত্রতত্র,
সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছিলো অসংখ্য মানপত্র।
খাটের স্ট্যান্ডে ঝুলছিলো একটা ময়লা উত্তরীয়,
যেন বলতে চাইছিলো,"আমায় চুরি করো"।
দেওয়াল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ব্যর্থ মনোরথে,
চোরের দল ফিরে গেলো শূন্য হাতে।
যেতে যেতে নিজেদের মধ্যে করলো আলাপ,
বাড়ির মালিকের অবস্থা তাদের চেয়েও খারাপ।