হে অজানা আর অচেনা যুবতী বালিকা,  
আমি তোমার নাম দিয়েছি কুমারী মরীচিকা।  
তোমার সম্মোহনী রূপে সৃষ্টি করে মরূদ্যান,
করে দাও আমার প্রেমের পিপাসার অবসান।
আমার দেহের ব্যাধি আর মনের বিকার,
তুমি অকপটে সবকিছু করে নাও স্বীকার।
আমি চাই তোমার উপর আমার অধিকার,
আর সুখে দুঃখে পাশে থাকার অঙ্গীকার।
তোমাকে দিতে গিয়ে আমার নজরের নজরানা,
আমি দিতে রাজি আছি যেকোন জরিমানা।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে আশ্বিনের শারদ প্রাতে,
তুমি কি হাঁটবে এবার আমার সাথে?
আমার কাশবনে তোমার যৌবনের আগুন জ্বালিয়ে,
তুমি ফাঁকি দিয়ে চলে যেওনা পালিয়ে।
নবমীর নিশুতি রাতে তোমাকে পেলে পাশে,
আমি মেতে উঠবো পরকীয়া প্রেমের উল্লাসে।
তোমার শূন্য সিঁথি দেখায় খুব বেমানান,
আমাকে কি দেবে করতে সিঁদুর দান?
তোমার দুই হাত লাগে বড়ই ফাঁকা,
তুমি কি পরবে আমার পাঠানো শাঁখা?
পায়ে দিয়ে আলতা পরে বেনারসি শাড়ি,
তুমি কি যাবে একদিন আমার বাড়ি?