ভালোবাসার পাঠ্যক্রম সুদূর দিগন্ত পর্যন্ত বিস্তীর্ণ,
তাই প্রেমের প্রবেশিকা পরীক্ষায় হইনি উত্তীর্ণ।
শরতের প্রখর রোদ দিনের বেলায় বাড়ায় উত্তাপ,
সংসারের অসাড়তা দেহমনে ছড়ায় হতাশার ছাপ।
দুর্গাপূজা যখন এসে হাজির আজ দোরগোড়ায়,
দাম্পত্যকে নর্দমায় ফেলে চলো মাতি পরকীয়ায়।
জীবনখানা দুঃখকষ্টে যতই হয়ে যাক পাথর,
পরকীয়া তবুও নাকি নিন্দনীয় আর স্পর্শকাতর!
সন্দেহ আর অবিশ্বাসে যখন পরিবেশ অধ্যুষিত,
ঘৃণা আর তিক্ততায় সম্পর্ক হয়ে উঠে কলুষিত।
মনের অপূর্ণ বাসনাগুলির সঙ্গে করে সন্ধি,
কোন ছলনাময়ী ললনার মায়াজালে হবো বন্দী।
তার কাজল মাখা চোখদুটি কালো বেশী,
তাই বলে আমি তো নইগো বর্ণবিদ্বেষী।
তাকে পাই শিশির জমা শিউলির সিক্ততায়,
আবার হারাই রাতে আমার একাকীত্বের রিক্ততায়।
তার হাসির ফোয়ারায় পুলকিত নীপ নিকুঞ্জ,
তার চুলের ঝাপটায় ধাবিত শ্বেতশুভ্র মেঘপুঞ্জ।
অবৈধ বলে সমাজ যতই করুক পরিহাস,
দু'জনে মিলে গড়ে তুলবো পরকীয়ার পান্থনিবাস।