হে বৈকুন্ঠের নন্দনকাননে বিরাজমান নৈসর্গিক সুখ,
কেন তুমি আমার প্রতি ফিরিয়ে নিয়েছ তোমার মুখ?

আমি বসে থাকি তোমার পথ চেয়ে অধীর অপেক্ষায়,
তুমি দাও ফাঁকি আমায় রোদবৃষ্টির লুকোচুরি খেলায়।

তোমার সন্ধানে যখন হাতরাই বেলাভূমির বালুরাশি,
বহুদূরে তখন শোনা যায় তোমার ছলনার অট্টহাসি।

আমি যতই বাঁধি তোমায় নিয়ে স্বপ্নের আশিয়ানা,
আমাকে ঘিরে ধরে দুঃস্বপ্ন-বিভীষিকার কচুরীপানা।  

আমার চলার পথ বড়ই আঁকাবাঁকা, নয় তো সোজা;
তোমার দেখা না পেলে জীবনটাকে মনে হয় বোঝা।

আমি তোমায় উপভোগ করি অশরীরি অনুভূতিতে,
তুমি আমায় ছেড়ে চলে যাও বিনা অগ্রিম অনুমতিতে।

চাওয়া-পাওয়ার এই নির্মম জগতে আমি যে অপয়া,
তুমি কল্পতরু হয়ে আমার সকল সাধ মিটিয়ে কর দয়া।

আমার অতৃপ্ত মনে বারে বারে একই প্রশ্ন মারে উঁকি,    
আমি কবে হবো সুখী?