পিঠেপুলির গন্ধে মাতোয়ারা মনের বাতায়ন,
চক্ষু মেলিয়া হেরি পৌষসংক্রান্তির উত্তরায়ণ।
উঠানে আলপনা আঁকিতে গৃহিণীদের ব্যস্ততা,
আকাশে উদিত হইতে সূর্য্যদেবের ইতস্ততা।
কবিতা রচিবার বাসনা যখন করিয়াছি দমন,
তখনি কাব্যরসের ভান্ড লইয়া তব আগমন।
তব স্নিগ্ধ মুখমণ্ডল যেন পূর্ণশশীর ষোলকলা,
কৈশোরের সিঁড়ি পার করিয়া তুমি রজঃস্বলা।  
রঙীন ছত্রের ছায়ায় অবগুন্ঠিত তব মৃগনয়ন,
সকলের অলক্ষ্যে করিতেছে স্বপ্নপুরুষ চয়ন।
গোলাপের পাপড়ির মত তব ওষ্ঠ-অধর ভরাট,
ইচ্ছা হয় চুম্বন করিয়া ছাড়িতে গৃহের চৌকাঠ।  
বক্ষযুগলের ভারে তটস্থ তব হাল্কা ওড়নাখানি,
কাহারো কুনজরে পড়ে যদি ঘটে শ্লীলতাহানি।
আমি ভালোবাসার তুচ্ছ খনিজ তুমি আকরিক,
আমার ধাতু নিষ্কাশনে বাধা আমি সাংসারিক।
কটিদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত তব রেশমী কেশবিন্যাস,
মনে হয় বুকে জড়াইয়া লইয়া লইতে সন্ন্যাস।    
চলিবার তালে ছলাৎছলাৎ নৃত্যরত তব নিতম্ব,
যেন প্রকাশ করিতেছে নিজের যৌবনের দম্ভ।
শালীনতার বস্ত্রে সংবরণ করিয়াছো তব লজ্জা,
তব হস্তে অনুষ্ঠিত হউক মম প্রেমের প্রবজ্যা।