ভোরের ভৈরবীতে তন মন ভরাইয়া নে রে আত্মভোলা,  
তাকাইয়া দেখ তব রুদ্ধদ্বার গৃহের বাতায়ন যে খোলা।  


আবহাওয়ার অস্থিরতা এবং খামখেয়ালীপনার মাঝে,  
আজি প্রকৃতি যে নববধূর লাজে ষোল শৃঙ্গারে সাজে।    
  
উত্তপ্ত ভাদ্রমাসের ভরা দ্বিপ্রহরে অকস্মাৎ খাইয়া ভির্মি,  
সংজ্ঞাহীনতায় অবলোকন করি সাগরের ফেনিল উর্মি।  

এইবার বিদায়ী বর্ষার বারি সংবরণ কর ওহে জলধর,
তুমি কি জানো সরোবরের সলিলে ফুটিয়াছে ইন্দিবর?


কৈলাসের কেলাস নির্মিত হার পরিহিতা দেবী হৈমবতী,
এইদিকে ত্রি-দিবসীয় বিচ্ছেদ যন্ত্রনায় কাতর উমাপতি।  


ছাপাখানার মালিক কর্মীগণের গলায় পরাইয়াছে ফান্দা,
শারদীয়া সংখ্যা আগে ছাপানোটাই এখন তাহার ধান্দা।  


কর্মহীন শিবু শব্দকরের অবস্থাটা বড়ই বেসামাল,
উৎসবের মরশুমে তাহার কি ঢাকে উঠিবে তাল?    
  
বেলা দশটার পরে খুলে দীনবন্ধু দর্জির দোকানের ঝাঁপ,  
এই রেডিমেড জামানায় কে লইবে তাহার ফিতার মাপ?


ইদারার কিনারায় বসিয়া ঈশানকোণে চাহিয়া ইন্দুমতী,  
ভাবে পুজোয় কি তাহার জুটিবে নতুন জামা আর চটি?