দোহাই তোমার হেতাল পারেখ,তুমি কথা বলো;  
ধনঞ্জয় চ্যাটার্জি কি সত্যিই তোমার অপরাধী ছিল?
হে নির্ভয়া,তুমি যেখানেই থাকো ভালো থেকো;
তোমার পুরুষ বন্ধু নির্ভয়ের খোঁজ-খবর রেখো।  
সেই রাতে সে হয়তো পারেনি তোমাকে বাঁচাতে,
সে লড়েছে 'পুরুষ মানে খারাপ' কলঙ্ক ঘোচাতে।  
যে পুরুষ তোমার জন্য মোমবাতি জ্বালিয়েছিল,
তার জীবন কেন আজ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে গেল?
ব্যাভিচারের কেচ্ছায় যেখানে উভয়ে সমান বদনাম,
পত্রিকায় তার আসল আর সঙ্গিনীর কাল্পনিক নাম!    
সে মেনে নিয়েছিল সাত জন্মের সম্পর্কের গুরুত্ব,  
তার কপালে জুটলো দুই বালিশের মাঝের দূরত্ব।
অর্গাজমের ভিত্তিতে তাকে প্রেম তার শ্লীলতাহানি,    
সারাজীবন সে যে বয়ে বেড়াচ্ছে পুরুষত্বের গ্লানি।
সংসার সুখের হয় যখন সে হয় পায়ের পাপোশ,
নয়তো তাকে চালাতে হবে ডিভোর্সের খরপোষ।
পুরুষকে তিরস্কার করলে সাহিত্য হয়ে যায় প্রসিদ্ধ,
পুরুষের পক্ষে বললে লেখককে হতে হবে নিষিদ্ধ।
কৃত্রিম হাসির প্রলেপ মেখে যদি হওয়া যায় হর্ষিত,
প্রতারণা আর হয়রানির শিকার হয়ে সে যে ধর্ষিত।
মহাদেব রূপে সে করেছে হলাহল তার কন্ঠে ধারণ,
তাই আর যা কিছুই হউন পুরুষ হওয়াটা যে বারণ।