যাহার তরে আজও তুমি কুমারী-সতী,
পিতৃগৃহের চাপে স্বীকার করোনি নতি;
যাহার তরে আজও তব আলুলায়িত কেশ,
ধারন করিয়াছো যোগিনী মীরাবাঈর বেশ;    
যাহার তরে আজও তুমি সর্বদা উপলব্ধ,
যৌবনের ঢেউ করিয়া রাখিয়াছো স্তব্ধ;
যাহার তরে আজও তব শুনশান সিঁথি,
পিছাইয়া দিতেছো বাগদানের তিথি;
যাহার তরে আজও তুমি অবিচল-অম্লান,
লোকচক্ষুর আড়ালে করিতেছো ঋতুস্নান;
যাহার তরে আজও তব একাগ্রচিত্তে প্রতীক্ষা,
হাস্যমুখে করিতেছো অসীম ত্যাগ-তিতিক্ষা;    
যাহার তরে আজও তুমি মঙ্গলকামিনী,
অতিবাহিত করিতেছো বিনিদ্র যামিনী;
যাহার তরে আজও তব বর্মরূপী বস্ত্রাবরণ,
সন্তর্পণে করিতেছো লজ্জার ভূষণ সংরক্ষণ;  
যাহার তরে আজও তুমি গাত্রে মাখো সুগন্ধি,
অতিক্রম করিয়া দিতেছো বিরহে বয়ঃসন্ধি;
যাহার তরে আজও তব শিবরাত্রির উপবাস,
আমাকে অর্জন করিবে বলিয়া সুদৃঢ় বিশ্বাস;  
যাহার তরে আজও তুমি যে কলঙ্কিনী রাধা,
পরিস্কার করিতেছো চরিত্রে নিক্ষিপ্ত কাদা;  
সে আমি নইতো?